কলকাতা: বিশ সাল বাদ! নাটকীয়ভাবে ২০ বছর পর আবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ফের একটা ক্রিকেটের বিশ্বকাপ ফাইনাল, ফের একবার ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ। শেষ ২০০৩ সালে এমন একটি ম্যাচ হয়েছিল যে ম্যাচের স্মৃতি ভুলতে চায় প্রত্যেক ভারতবাসী। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সে বার ভারত বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফর্ম করেও কাপ জিততে পারেনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া তাদের হেলার হারায় বলাই যায়। কিন্তু ২০ বছর পর সেই দেশকেই একই রকম এক ফাইনালে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে ভারত। এবার নেতা রোহিত শর্মা। তিনি কি পারবেন সৌরভের হয়ে বদলা নিতে?
২০ বছর আগে সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত কার্যত নতিস্বীকার করেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সঠিকভাবে বলতে গেলে তাদের অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কাছে। তখনও টি-২০ কী, তা কেউই জানে না। এই সময়ে ফাইনালে ১২১ বলে ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন পন্টিং। সেটাই ম্যাচের রঙ হলুদ করে দিয়েছিল। ম্যাচ শেষে ভারতীয় শিবিরকে অসহায়, নিঃসম্বল লেগেছিল। ২০ বছর পর তার পটপরিবর্তন করার সুযোগ এসেছে। চলতি বিশ্বকাপে ভারত যে অনবদ্য ফর্মে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনও এই টুর্নামেন্টে অপরাজিত তারা। রোহিত বাহিনী কি পারবে অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপ জিততে? নাকি এবারও সেই হতাশা?
পারফর্মেন্স বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়াও যে খারাপ খেলছে তা নয়। বিশ্বকাপের শুরুতে ২ ম্যাচ হারার পর তারাও দুরন্ত কামব্যাক করেছে। আর একটিও ম্যাচ না হেরে তারা ফাইনালে উঠেছে। সেই অর্থে ফাইনাল যে হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই বিশ্বকাপ জিততে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে নির্দিষ্টভাবে যে আরও একজন অধীর অপেক্ষা করছেন তা সকলেই জানেন। তিনি রাহুল দ্রাবিড়, ভারতীয় দলের কোচ। ২০০৩ সালে ফাইনাল খেলা দ্রাবিড়ের কাছে সুযোগ ‘কবির খান’ হয়ে ওঠার।
২০০৩ সালে ফাইনালে হারার ‘উপহার’ সেই রুপোর পদক হয়তো রাহুল দ্রাবিড় রবিবার আহমেদাবাদে নিয়ে যাবে। হলফ করে বলা যায়, তাঁর অপেক্ষা থাকবে খেলা শেষের পর সেটা সরিয়ে রেখে সোনার পদক গলায় জড়ানোর। ক্রিকেটার দ্রাবিড় ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। কোচ দ্রাবিড়ের সামনে সেই সুযোগ এসে গিয়েছে।