manmohan singh
নয়াদিল্লি: একটা যুগের অবসান! রাজ্যসভা থেকে অবসর নিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ মনমোহনের উদ্দেশে একটি চিঠি তিনি লিখলেন, ‘একটা যুগের অবসান ঘটল৷ আপনি সকলের কাছে হিরো হয়ে থাকবেন।’ এক্স হ্যান্ডলে সেই চিঠি শেয়ারও করেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা৷ সেখানে খাড়গে আরও লিখেছেন, ‘‘আপনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন ঠিকই, তবে আমি আশাবাদী, আপন একইভাবে জ্ঞানের শিখা প্রজ্জ্বলিত করে রাখবেন। দেশের মানুষকে আপনি যে নৈতিকতার পাঠ শিখিয়েছেন, তা চিরকালই থেকে যাবে। আপনার সুস্থ, শান্তিপূর্ণ জীবন কামনা করি।’’ (manmohan singh)
কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘‘আজকের যে নেতারা আপনার কর্মকাণ্ড নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন, তাঁরা পক্ষপাতিত্বের জেরে আপনার কৃতিত্ব মেনে নিতে চায় না। আপনার মতো ভক্তি এবং জীবন উৎসর্গ করার একাগ্র মনোভাব নিয়ে আর কেউ রাষ্ট্র চালাতে পারবে না। আপনি দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য যা করেছেন, সেই মাইলফলক ছোঁয়ার সাধ্যি কারও নেই।’’
১৯৯১ সালের ২৪ জুলাই, নরসিংহ রাও সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে লোকসভায় বাজেট পেশ করেন মনমোহন সিং৷ স্বাধীনতা পরবর্তী বিগত বাজেট প্রস্তাবগুলির তুলনায় এটা ছিল আক্ষরিক অর্থেই ভিন্ন। কারণ এই বাজেটের মূল কথা ছিল, ভারতে বিদেশি পুঁজি, প্রযুক্তি আর ব্রাত্য নয়। এবার থেকে আর ব্রাত্য নন দেশের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরাও। সেই প্রথম সরকারি বাঁধন আলগা করে তাঁদের জন্য খুলে দেওয়া হয় কয়লা, ইস্পাতের মতো শিল্প, বিমান পরিষেবা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্ষেত্রগুলি। সেই প্রথম কোনও সরকারের অর্থমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন বেসরকারি এবং বিদেশি পুঁজি, প্রযুক্তিও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমানভাবে প্রয়োজন। সেই মনমোহন যখন প্রধানমন্ত্রীর আসনে, তখন চালু হয় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প৷ সেই কথা উল্লেখ করেও খাড়গে লিখছেন, ‘২৭ কোটি দরিদ্র ভারতবাসীকে দারিদ্রের কবল থেকে মুক্ত করেছেন আপনিই।’ সকলের কাছে তিন হিরো হয়েই থাকবেন৷