naushad
নিজস্ব প্রতিনিধি: একবার দু’বার নয়, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁকে হারানোর হুঙ্কার বহুবার দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। একথা এতবার বলেছেন তা গুণতে বোধহয় ক্যালকুলেটর লাগবে। শুক্রবার ফের সেই হুঙ্কার দিতে দেখা গেল তাঁকে। যা নিয়ে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, ফের যা বলছেন নওশাদ সেটাও কী লোক হাসানো হিসেবেই ধরতে হবে? শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে নাকি দিন তিনেকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন নওশাদ। সেই সঙ্গে অভিষেককে প্রাক্তন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সেখানে নওশাদ বলেন,”আমি লড়তে প্রস্তুত। আশা করি আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দলের অনুমোদন পেয়ে যাব। আমি ডায়মন্ড হারবার থেকেই ভোটে দাঁড়াতে চাই। ওখানে এই মুহূর্তে যে বিদায়ী সাংসদ রয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে আমি লড়ব এবং তাঁকে প্রাক্তন করে দেব। আমি জিতব বলেই আশাবাদী। আমি তো তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়ছি। আমার হারের ভয় নেই।” যেহেতু নওশাদ বারবার দাবি করেছেন তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাই সিপিএম এবং কংগ্রেসও সেখানে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। সূত্রের খবর, শেষমেশ আইএসএফ ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী না দিলে সিপিএম প্রতীকুর রহমানকে সেখানে প্রার্থী করবে। সেখানে নওশাদকে একাধিক বার বলতে শোনা গিয়েছে দল অনুমোদন দিলেই তিনি প্রার্থী হয়ে যাবেন।
এ প্রসঙ্গে নওশাদ এদিন বলেন,”দলে আলোচনা চলছে। তবে আর বেশি সময় লাগবে না।” তবে প্রশ্ন একটাই, জেতার ব্যাপারে এতটা নিশ্চিত হওয়ার পরেও কেন তাঁর নাম ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছে না আইএসএফ? সেক্ষেত্রে অবশ্য আইএসএফের যুক্তি, হেভিওয়েট অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে নওশাদ গোটা লোকসভা নির্বাচন পর্বে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে আটকে যেতে পারেন। অর্থাৎ তখন জেলায় জেলায় ঘুরে নওশাদ সেভাবে আইএসএফ প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাতে পারবেন না। যদিও এই যুক্তি কতটা বাস্তবসম্মত সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নওশাদ ফের যে হুঙ্কার দিলেন সেটিকে কিন্তু সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না রাজনীতির কারবারিরা।