congress
নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক রাজ্যে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট ধাক্কা খেয়েছে। বিহারে জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে জেডিইউ। কর্নাটকে জোট ছেড়েছে জেডিএস। পাঞ্জাবেও জোট হয়নি কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে। আর পশ্চিমবঙ্গে যে জোট হবে না সেটা বহু আগেই বোঝা গিয়েছিল। যথারীতি সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছে কংগ্রেসের। কিন্তু এরপরেও স্বস্তিতে নেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসার ব্যাপারে যথেষ্ট অনীহা রয়েছে রাহুল গান্ধী, জয়রাম রমেশ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা-সহ শীর্ষ নেতৃত্বের। কারণ একটাই, এখানে এসে তাঁদের তৃণমূলের বিরোধিতা করতে অসুবিধা হবে। যদি আসতেই হয় তাহলে শুধু বিজেপির বিরুদ্ধেই তাঁরা সুর চড়াবেন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস সূত্রে। তাই পশ্চিমবঙ্গে এসে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে এখনই প্রচারে আসার কথা সেভাবে ভাবছেন না কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনটাই সূত্রের খবর।
তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ বাংলার অধিকাংশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও শেষ পর্যন্ত জোটের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই কারণে সন্দেশখালি ইস্যুতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। এমনকী তৃণমূল একতরফা ভাবে ৪২টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরেও হাইকমান্ডকে সেভাবে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। উল্টে জয়রাম রমেশ তখনও আশার কথা শুনিয়েছেন। বলেছেন এমনও তো হতে পারে যে শেষ মুহূর্তে তৃণমূল প্রার্থী কয়েকটি আসন থেকে প্রার্থী তুলে নিল। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন মানসিকতা থেকেই পরিষ্কার যে তাঁরা রাজ্যে প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলবেন না। তাতে ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমন ভাবনাই কাজ করছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে।
স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। বহুদিন ধরে সাধ্যমত চেষ্টা করে বাংলায় কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে হাইকমান্ডকে রাজ্য কংগ্রেসের পাশে কখনই দাঁড়াতে দেখা যায় না। একদিকে প্রবল অর্থাভাবে ভুগছে রাজ্য কংগ্রেস, অন্যদিকে ‘মরাল সাপোর্ট’ পর্যন্ত তারা পাচ্ছে না হাইকমান্ডের কাছ থেকে। এভাবে কী আদৌ লড়াই চালানো যায়? চালাতে পারলেও আর কতদিন এসব সহ্য করা যায়? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে। তাই আগামী দিনে বাংলায় কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কতটা দেখা যায়, বা কী ভূমিকায় দেখা যায়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।