নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৬ ও গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছিল কংগ্রেসের। গতবার দু-পক্ষের কেউই একটিও আসনে জিততে পারেনি। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল কম আসনে লড়েও সিপিএম তথা বামেদের থেকে কংগ্রেস বেশি আসনে জয় পেয়েছিল। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন বামেদের ভোট কংগ্রেসে গেলেও উল্টোটা ঘটেনি। অর্থাৎ ভোট ট্রান্সফার মসৃণভাবে দু’তরফের মধ্যে হয়নি বলে বামেদের অভিযোগ ছিল। এবার পরিস্থিতিটা পুরো বদলে যাবে বলে দু’পক্ষেরই দাবি। সেই সূত্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম এখন থেকেই জিতে বসে আছেন।
বহরমপুরে অধীর, আর মুর্শিদাবাদে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ইতিমধ্যেই অধীর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন সমস্ত জেলার কংগ্রেসের কর্মী- সমর্থকরা যেন সিপিএমের হয়ে প্রচারে নামেন এবং বাম প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেন। শীঘ্রই অধীর-সেলিম যৌথ ভাবে প্রচার করবেন বলেও ঠিক হয়েছে। তাঁরা একে অপরের কেন্দ্রে গিয়ে সভা করবেন।
রাজ্যের মালদা-মুর্শিদাবাদ জেলায় এখনও কংগ্রেসের বলার মতো শক্তি রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলছে কংগ্রেসের পাশাপাশি বামেদেরও শক্তি বেড়েছে এই দুটি জেলায়। তাই বেশ কয়েক মাস ধরে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করেছেন মহম্মদ সেলিম। একাধিকবার সেখানে গিয়ে দলের বহু কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন তিনি। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটি সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগেই কথা হয়ে গিয়েছিল অধীর ও সেলিমের মধ্যে। উল্লেখ্য গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট না হলেও বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের সিপিএম প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল কংগ্রেসকে।
ফলাফলে দেখা যায় রাজ্যের কেবলমাত্র ওই দুটি আসনেই কংগ্রেস জয় পেয়েছিল। আর এবার জোট হওয়ায় ফল আরও ভাল হবে বলে দু’তরফের দাবি। এই পরিস্থিতিতে বহরমপুর কেন্দ্রে তিনি ফের জিতবেন বলে দাবি করেছেন অধীর। সেই সঙ্গে জোরের সঙ্গে বলছেন পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রেও মহম্মদ সেলিমের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যে দাবি করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তা বাস্তবায়িত হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।