বিপ্লবে ইতি! লোক হাসিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে শেষপর্যন্ত দাঁড়ালেন না নওশাদ

বিপ্লবে ইতি! লোক হাসিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে শেষপর্যন্ত দাঁড়ালেন না নওশাদ

b1f4744e8802b904b25f370647ed0664

নিজস্ব প্রতিনিধি:রাজ্য তথা দেশজুড়ে রাজনৈতিক ময়দানে অনেককে দেখা যায় যারা বড় বড় কথা বলার পরেও সেখান থেকে পিছিয়ে গিয়েছেন। এক কথায় যাকে বলে লোক হাসানো। যে তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বহুবার যিনি ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন, এখন দেখা গেল সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন তিনি। ঘটনা হল বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার-সহ পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আইএসএফ। তাতে দেখা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারে লড়ছেন না নওশাদ।

এদিন ফুরফুরা শরিফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন আইএসএফ নেতৃত্ব, তাতে দেখা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়ছেন মজনু লস্কর। এছাড়া যাদবপুরে আইনজীবী নুর আলম খান, বালুরঘাটে মোজাম্মেল হক, উলুবেরিয়ায় মফিকুল ইসলাম এবং ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী জামির হোসেনকে। এছাড়া বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে আগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মোল্লাকে বদল করে নতুন প্রার্থী হিসেবে আখতার আলি বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনে আইএসএফের টিকিটে লড়বেন মুর্শিদ আলম। সবমিলিয়ে ১৩টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করল আইএসএফ।

ডায়মন্ড হারবারে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেবেন বলে বহুবার দাবি করেছেন নওশাদ। শুধুমাত্র সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কারণ নওশাদ যদি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতেন তাহলে তাঁকে সমর্থন করত বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসও। কিন্তু দেখা গেল শেষ মুহূর্তে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। যদিও আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি নওশাদ যদি সেখানে দাঁড়াতেন তাহলে একটি জায়গায় তিনি আটকে যেতেন। তখন রাজ্য জুড়ে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে পারতেন না তিনি। সেই কারণে নওশাদকে কোনও লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হয়নি বলে আইএসএফ নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন। তবে সেই দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বাম ও কংগ্রেস।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার ভয়েই শেষ পর্যন্ত পিছু হটলেন নওশাদ। কিন্তু সেটাই যদি হবে তাহলে এতদিন ধরে এভাবে বাজার গরম করা কথা কেন বলে গিয়েছিলেন তিনি? নাকি এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? তবে কী আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যাবে? এই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। তবে যাই হোক না কেন, নওশাদ যেভাবে লোক হাসালেন তাতে তাঁর যে অনেকটাই ‘ফেসলস’ হল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *