মুম্বই: ৩ হাজার টাকার SIP করবেন না কি ৫ হাজার টাকার? কোনটা করলে বেশি লাভ হবে? নাকি বেশি টাকায় লোকসান বেশি? কীভাবে বুঝবেন মিউচুয়াল ফান্ডের এই কঠিন অঙ্ক?
এসআইপি মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। প্রতি মাসে নির্দিষ্টি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। যা অনেকটাই রেকারিং ডিপোজিটের মতো। এসআইপিতে কমপাউন্ডিং সুদের সুবিধা পাওয়া যায়। এর মানে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং মেয়াদ, এই দুটো যত বাড়বে, লাভের পরিমাণও তত বাড়বে। এখন প্রশ্ন হল, ৩ হাজার না কি ৫ হাজার, এসআইপি-র মাধ্যমে কত টাকা বিনিয়োগ লাভজনক?
ধরা যাক, কেউ প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকার এসআইপি করলেন। এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, দশ বছর মেয়াদে তাঁর মোট জমার পরিমাণ হবে ৩,৬০,০০০ টাকা। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে সুদ হিসেবে তিনি পাবেন ৩,৩৭,০১৭ টাকা। অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে তিনি হাতে পাবেন ৬,৯৭,০১৭ টাকা। মেয়াদ যদি ১০ বছরের বদলে টানা ১৫ বছর করা হয়, তাহলে রিটার্ন দাঁড়াবে ১৫,১৩,৭২৮ টাকা। মোট জমার পরিমাণ ৫,৪০,০০ টাকা এবং সুদ হিসেবে হাতে আসছে ৯,৭৩,৭২৮ টাকা।
এবার যদি কেউ ৩ হাজার টাকার বদলে ৫ হাজার টাকার এসআইপি করেন, তাহলে একই মেয়াদে অর্থাৎ দশ বছরে তাঁর মোট জমার পরিমাণ হবে ৬ লাখ টাকা। সুদের হার আগের মতো ১২ শতাংশই ধরলে, তিনি সুদ হিসেবে পাবেন, ৫,৬১, ৬৯৫ টাকা। অর্থাৎ মোট রিটার্ন মিলবে ১১,৬১,৬৯৫ টাকা। একইভাবে যদি ১৫ বছর মেয়াদে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ২৫,২২, ৮৮০ টাকা রিটার্ন মিলবে। এক্ষেত্রে জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। সুদ হিসেবে মিলছে ১৬,২২,৮৮০ টাকা।
এখান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দশ বছর মেয়াদে ২ হাজার টাকা বাড়তি বিনিয়োগ রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রায় ৫ লাখ টাকার পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। এটাই কম্পাউন্ডিংয়ের মজা। মেয়াদ এবং বিনিয়োগ বেশি হলে রিটার্নও বৃদ্ধি পাবে। মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি আছে। কিন্তু রিটার্নও বেশি। মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে পারে। এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ তাই ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়। মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত। ফলে বাজারের ওঠানামায় বিনিয়োগ প্রভাবিত হয়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে অন্য যে কোনও স্কিমের তুলনায় লাভজনক। আপনি নিশ্চিন্তে মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করতে ফোন করুন ৯০৯৩২১১২১১ এই নম্বরে।