coalition car
নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল জোট প্রসঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে জোট হবে কিনা তা নিয়ে যখন ঘোরতর সংশয় ছিল, হঠাৎই সেখানে জোটের ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের ধারাবাহিক চেষ্টায় কিছুটা বরফ গলেছে বলেই খবর। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেস ৪-৫টি আসনে লড়বে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে অসম, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে তৃণমূলকে কিন্তু আসন ছাড়তে হবে কংগ্রেসকে। তবে এগুলির কোনওটাই চূড়ান্ত নয়। তবে এটা বলা যেতে পারে যখন কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে না ধরেই নেওয়া হচ্ছিল, তখন কিছুটা হলেও বঙ্গে জোটের গাড়ি নতুন করে চলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তবে যদি পশ্চিমবঙ্গে জোট হয় তাহলে তৃণমূলের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে। অর্থাৎ তৃণমূলের একলা চললে লাভ বেশি। কিন্তু কেন? ঘটনা হল তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতাদের বিরুদ্ধে যে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার দায় কংগ্রেস নিতে চায় না। তাই জোট হলে যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকবে না সেখানকার তৃণমূল বিরোধী ভোট তখন নিশ্চিতভাবে বিজেপির দিকে চলে যাবে। গত ১২ বছর ধরে কংগ্রেসকে যেভাবে রাজ্যে তৃণমূল ক্রমাগত ভেঙেছে, তাতে নীচুতলার কর্মীরা কোনও ভাবেই যে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না তা জলের মতো পরিষ্কার। তাই জোট হলে যে যে আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকবে না সেখানে কংগ্রেস ও বাম কর্মীদের ভোট কোনও ভাবেই তৃণমূলের দিকে যাবে না। মূলত কংগ্রেস ও তৃণমূলের যে বাঁধা হিন্দু ভোট রয়েছে তার প্রায় পুরোটাই তখন বিজেপির দিকে চলে যাবে। আর বাম-কংগ্রেসের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এখনও যেটুকু সমর্থন রয়েছে সেটাও পুরোপুরি তৃণমূলের দিকে যাবে না। সেই ভোটের একটা বড় অংশ আইএসএফের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই তৃণমূল যদি একলা লড়ে সেক্ষেত্রে তাদের বিরোধী ভোট বাম-কংগ্রেস জোট ও বিজেপির মধ্যে ভাগ হলে নিশ্চিত ভাবে তৃণমূলের সুবিধা হবে। যথারীতি এই বিষয়টি মাথায় রয়েছে তৃণমূলেরও। তাই জোট নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে তৃণমূলের কথাবার্তা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট হয় কিনা সেটাই দেখার।