নয়াদিল্লি: যত দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ বেড়ে চলেছে। ওই নাজেহাল গরমে সুরাপ্রেমীদের পছন্দের পানীয় বিয়ার। কিন্তু সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। বাড়তে চলেছে বিয়ারের দাম। জানা গিয়েছে, বার্লি সহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিয়ারের দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
দেশে মদের দাম মূলত রাজ্য সরকারগুলো নির্ধারিত করে। তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যে বিয়ারের দাম বাড়িয়েছে। বিয়ার প্রস্তুতকারকসংস্থাগুলো জানিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যেও শীঘ্রই বিয়ারের দাম বাড়বে। বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, কাঁচামালের অভাবের জন্য বিয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বিয়ারের দাম বাড়ার নেপথ্যে অনেকাংশে দায়ী। ইউক্রেন থেকে মূলত বিয়ারের জন্য কাঁচা মাল বার্লি সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বার্লির উৎপাদন বা আমদানি কমেছে। আগের তুলনায় বর্তমানে ইউক্রেনে বার্লির দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি প্যাকেজিং ও পরিবহণ খরচও বেড়েছে। এই কারণেই বিয়ারের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়তে চলেছে।
বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মুহূর্তে যেহারে কাঁচামাল বা পরিহণের খরচ বাড়ছে, তাতেই বিয়ারের দাম বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্য়াকেজিংয়ের দাম বাড়ছে। বিয়ারের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো তাই রাজ্যসরকারগুলোর কাছে দাম বাড়ানোর অনুমতি চেয়েছে। বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সারা বছরের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বিয়ার বিক্রি হয়। চলতি বছর বিয়ার বিক্রির হার অনেকটা বেশি হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কারণ আগের দুই বছর করোনা মহামারীর জেরে এই গরমের সময় রেস্তোরাঁ, বার বন্ধ ছিল। এবারে দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।