নয়াদিল্লি: ফের টাকার দামে পতন। বৃহস্পতিবারের পর ফের ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়ল। দুই দশকের মধ্যে সব থেকে বেশি হল ডলারের দাম। এক মার্কিন ডলার হিসেবে টাকার দাম নেমে গিয়েছে ৭৭.৫০ টাকা। আগে টাকার দাম এতটা পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। টাকার দামের পতনের জেরে মুদ্রাস্ফিতী বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার টাকার দাম কমে দাঁড়িয়েছিল ৭৭.৫০ টাকা। অর্থাৎ এক মার্কিন ডলারের দাম ৭৭.৫০ টাকা। শুক্রবার সকালে বাজার খুলতেই মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার দাম উঠেছিল ৭৭.৫২টাকা। এরপরেই টাকার দাম আবার পড়ে যায়। ট্রেডের সময় টাকার দাম ফের কমে যায়। সেই সময় মার্কিন ডলার প্রতি দাম হয় ৭৭.৩৬ টাকা। পরে যদিও কিছুটা বেড়ে হয় ৭৭.৬৩ টাকা। দিন শেষে এক ডলার হিসেবে দাম হয় ৭৭.৫০ টাকা।
টাকার দাম ক্রমাগত পড়ে যাওয়ায় অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা মুদ্রাস্ফিতীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ক্রমাগত টাকার দাম পড়তে থাকলে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে দেশে আট বছরে রেকর্ড মুদ্রাস্ফিতী। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ বেড়ে ৭.৭৯ শতাংশ হারে পৌঁছে গিয়েছে।
টাকার দামের পতনের ফলে আমদানি করা জিনিসের দাম বাড়বে। বিশেষত ল্যাপটপ জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সমস্ত পণ্য তৈরি করতে সাধারণত বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। বাড়তে পারে জ্বালানির দাম। এমনিতেই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছে।ফের এক বার টাকার দামের পতনের পর জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।