যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করেই লোকসভায় সেলিব্রিটি প্রার্থী দিতে চায় বিজেপি ও তৃণমূল

যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করেই লোকসভায় সেলিব্রিটি প্রার্থী দিতে চায় বিজেপি ও তৃণমূল

9156bdf73e43ade911f2d52d70f94b89

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতিতে সেলিব্রিটিদের আগমন আজ আর কোনও নতুন বিষয় নয়। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এমনটা হয়ে চলেছে। তবে বিগত এক-দু দশক ধরে সেই প্রবণতা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি এবং তৃণমূল কতজন সেলিব্রিটি প্রার্থী দাঁড় করাবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি সূত্রে খবর, দুটি দলই সেলিব্রিটি প্রার্থী নিয়ে সাত পাঁচ ভেবে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। তার কারণ এই দুটি দলের সেলিব্রিটি প্রার্থী নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভাল নয়।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে এক ঝাঁক সেলিব্রিটি প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের সিংহভাগ পরাজিত হয়েছিলেন। তারপরে বেশিরভাগকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে কাউকে দেখা যায়নি। সেটাই ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। আসলে বেশিরভাগই বিধায়ক বা সাংসদ হওয়ার জন্যেই টিকিট চান, দল করার জন্য নয়। যা কিনা রাজনীতিতে কাম্য নয়। একই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তৃণমূলকেও। তৃণমূলের টিকিটে যে সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী বা অন্যান্য ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের বড় অংশ প্রত্যক্ষভাবে প্রতিদিনকার রাজনীতিতে যুক্ত থাকেন না। এতে সমস্যায় পড়েন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। কাউন্সিলর, বিধায়ক বা সাংসদের একটি স্বাক্ষর জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যেতে হয় তাঁদের। সবচেয়ে বড় কথা সেলিব্রিটিদের হাত ধরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে লাভবান হবে তৃণমূল বা বিজেপির মতো প্রধান দুটি দল, তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়।

তাহলে এই দুটি দলের হয়ে দাঁড়িয়ে একাধিক সেলিব্রিটি প্রার্থী পরাজিত হতেন না। তাঁরা নিজেদের ক্যারিশ্মাতেই জয়ী হতে পারতেন। যেমন পরাজিতদের তালিকায় তৃণমূল ও বিজেপি মিলিয়ে রয়েছেন মুনমুন সেন, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, অঞ্জনা বসু, বাইচুং ভুটিয়া-সহ অনেকেই। আবার যারা জয়ী হয়েছেন তাঁদের ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। যেমন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তারপরে একবারও নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে যাননি তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। যে বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ দল। বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর কয়েক বছর ছাড়া পরবর্তীকালে অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কেও  দলীয় কর্মসূচিতে সেভাবে সক্রিয় ভাবে দেখা যায়নি। দুটি দলে এমন উদাহরণ আরও আছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থী বাছার আগে রীতিমন্ত ভাবনাচিন্তা করছে দুটি দলই, এমনটাই সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *