পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন পরিণতি? মঞ্জুষার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন পরিণতি? মঞ্জুষার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

কলকাতা: জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দের আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকেই যখন কার্যত সরগরম টলিপাড়া ঠিক তখনই গত ২৫ হঠাৎই আরও এক উঠতি অভিনেত্রী পল্লবীর মতোই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর মেলে। মডেল তথা উঠতি অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর একদিন যেতে না যেতেই এবার উদ্ধার হল তারই প্রিয় বন্ধু আরও একজন জনপ্রিয় মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ।

শুক্রবার সকালেই পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে  মঞ্জুসার ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুকেও কেন্দ্র করে মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক রহস্য। জানা যাচ্ছে মাস ছয়েক আগেই মঞ্জুসার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে নানা কারণে অশান্তি লেগেই থাকত। চার দিন আগে গত সপ্তাহেই পাটুলিতে নিজের বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবার তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর স্বামীও পাটুলির বাড়িতে এসেছিলেন বলে খবর। সেখানেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির কারণেই মঞ্জুসার এমন পরিণতি কিনা সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এবার মঞ্জুষার স্বামীকে শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল পাটুলি থানার পুলিশ। এছাড়াও মঞ্জুসার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যদেরও ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্জুসার বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। মৃতার মায়ের দাবি,  স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা-কাটাকাটিও হয়েছিল মঞ্জুসার। এরপর তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফেরত জাওয়ার জন্য জোর করলে তখনই তিনি স্বামীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘জোর করলে বিদিশার মতোই মরে যাব।’

মঞ্জুসা নিয়োগের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে কার্যত শোকোস্তব্ধ তাঁর পরিবার। ঠিক কি কারণে এমন চরম পরিণতি হল উঠতি এই অভিনেত্রীর তার কূলকিনারাই পাচ্ছেন না কেউ। অন্যদিকে মঞ্জুসার বন্ধুমহল সূত্রে খবর বিদিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সিলিং ফ্যানের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী। তবে এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসেনি পুলিশের। তবে পুলিশি জেরায় পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তার মধ্যেই প্রিয় বান্ধবীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। আর তার জেরেই এমন পরিণতি, এমনটাই মত তদন্তকারী গোয়েন্দাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + seven =