kejriwal
নয়াদিল্লি: যেমনটা ভাবা গিয়েছিল বাস্তবে সেটাই ঘটল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজধানী জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই ঘটনার অভিঘাত অবশ্যই পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। এর ফলে দিল্লির সাতটি আসনেই বিজেপি চাপে পড়ে গেল বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মত। সেক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ এনে দিল্লিতে প্রবলভাবে প্রচার চালাবে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। এভাবেই সাধারণ মানুষের সহানুভূতি কুড়োতে চাইবে তারা।
দিল্লির সাতটি আসনে আপ ৪ এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে লড়ছে। বিগত দুটি লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। তবে এবার কিন্তু ‘খেলাটা’ ঘুরে যেতে পারে। ঘটনা হল দিল্লিতে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে সাতটি আসনেই আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস জোট বিজেপির থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। যে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিতে পারছে না বিজেপিও। যদিও তারা বলছে বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত আলাদা। কিন্তু যতই সেই দাবি তারা করুক না কেন, দিল্লীবাসী যেভাবে পরপর দুটি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন, তাতে লোকসভা নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। তার উপর এবার কংগ্রেসের সঙ্গে আপের জোট হয়েছে।
গতবার বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করলেও লোকসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে দিল্লিতে দ্বিতীয় হয়েছিল কংগ্রেস। সেই ফ্যাক্টর নিঃসন্দেহে ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। এই আবহের মধ্যে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ায় দিল্লীবাসীর সহানুভূতি ভোট অনেক বেশি মাত্রায় আম আদমি পার্টির দিকে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কি যা ঘটল তাতে বিজেপি কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়ে গেল? এই প্রশ্ন বিজেপির অন্দরেই উঠতে শুরু করেছে।