kamal nath
নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস ছাড়ার ব্যাপারে একশো শতাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথ। বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পাকা হয়ে গিয়েছিল। তাই কংগ্রেস নেতা কমলনাথের দিল্লির বাড়ির ছাদে বেশ কয়েক দিন ধরে উড়তে দেখা গিয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা। অর্থাৎ সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যায়। এরপরেও দুটি কারণে আপাতত কংগ্রেসে থেকে যেতে বাধ্য হয়েছেন কমল নাথ।
প্রথম কারণ হল মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রবল আপত্তি। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কমল নাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। যা মেনে নিতে পারেননি সিন্ধিয়া। এর দুই বছর পর নিজের অনুগামী বহু বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন সিন্ধিয়া। এরপর সরকার পড়ে যায় এবং ক্ষমতায় আসে বিজেপি। পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগদান করে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হন সিন্ধিয়া। কংগ্রেসে থাকার সময় সিন্ধিয়া চিরকালই কমলনাথের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। তাই এখন যদি কমলনাথকে বিজেপি দলে নেয় সেটা সিন্ধিয়া সহজেই মেনে নেবেন এটা সম্ভব ছিল না। তাই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথ আপাতত বিজেপিতে যোগদান করতে পারলেন না।
এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। যে কারণে বিজেপি শেষ মুহূর্তে কমলনাথকে দলে টানেনি। উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে শিখ হত্যা মামলায় নাম রয়েছে কমলনাথের। সূত্রের খবর, কিছুদিনের মধ্যেই পাঞ্জাবের অকালি দল আবার এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছে। তাই অকালি দল কোনও ভাবেই চায় না শিখ দাঙ্গায় নাম জড়ানো কমন নাথকে বিজেপি দলে নিক। জানা গিয়েছে তাদের প্রবল আপত্তির কারণে বিজেপিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। মূলত এই দুটি কারণেই কংগ্রেসে থেকে গিয়েছেন কমল নাথ। অর্থাৎ দলের প্রতি ভালবাসার জন্য নয়, বাধ্য হয়েছেন থেকে যেতে। এরপরই কমলনাথের দিল্লির বাড়ির ছাদ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও আগামী দিনে নতুন করে সমীকরণ তৈরি হবে কিনা সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলতেই হবে যে, কংগ্রেস ও কমলনাথের মধ্যে সেই সুসম্পর্কটা আর নেই। কমল নাথ ঠিক কী চেয়েছিলেন, আর কী কারণে তিনি থেকে গিয়েছেন দলে, সেটা ভাল করে বুঝে গিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি আগামী দিনে কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।