himachal pradesh
নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। শেষমেশ ভালই ‘খেলা’ দেখেছে রাজ্যবাসী। বিজেপিকে নাস্তানাবুদ করার পর তাদের দলের বেশ কয়েক জন বিধায়ক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। দল ছেড়েছেন বিজেপির একাধিক সাংসদ। যত সময় গিয়েছে ততই বিজেপি ভেঙেছে। ভেঙেছে বাম-কংগ্রেসও। আর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্যান্য রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীরা শক্তি হারাচ্ছে। বিধায়ক, সাংসদরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। সব জায়গাতেই ‘খেলা’ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বড় ‘খেলা’ দেখাল হিমাচল প্রদেশে। রাজ্যসভা নির্বাচনে ছয় কংগ্রেস বিধায়ক ও তিন নির্দল বিধায়ক ভাঙিয়ে হারা ম্যাচ বের করে নিল বিজেপি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের হাতছাড়া পারে।
৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশের ম্যাজিক ফিগার ৩৫। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪০ ও বিজেপির ২৫। এছাড়া তিন নির্দল বিধায়ক কংগ্রেসকে এতদিন সমর্থন করছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভার ভোটে ছয় কংগ্রেস ও তিন নির্দল বিধায়কের সমর্থন বিজেপির পক্ষে যাওয়ায় তাদের সংখ্যা রাতারাতি বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৩৪। রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী সমান সমান ভোট পান। তাই সেখানে টস হয়, যেখানে বিজেপি প্রার্থী জিতে যান। হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি।উল্লেখ্য হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ সেই রাজের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিরোধী গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। সেই সূত্রে ছয় কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন বলেই খবর। শুধু তাই নয়, তাঁদের বর্তমানে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় রাখা হয়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর যে কোনও মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশে আস্থা ভোট হতে পারে। বর্তমান সমীকরণ অনুযায়ী কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ের দখলে থাকবেন ৩৪ জন করে বিধায়ক। অর্থাৎ আর একজন কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙাতে পারলেই হিমাচল প্রদেশে পালাবদল অবশ্যম্ভাবী। বিজেপির অতীতের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ বলছে এই কাজ তারা অনায়াসে করে ফেলবে। তাই ‘অপারেশন লোটাস’ হিমাচলে ফের খেলা দেখাচ্ছে, এটা বলাই যায়। আর শেষ পর্যন্ত সেটাই হলে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস তথা বিরোধী জোট বিরাট ধাক্কা খাবে। তাই আগামী কয়েক দিনে হিমাচলে কেমন ‘খেলা’ হয় সেটাই এখন দেখার।