RBI-এর কড়া পদক্ষেপ! মুখ থুবড়ে পড়ল BANK NIFTY! ‘কল’ না ‘পুট’? খেলা দেখাবে কে?

RBI-এর কড়া পদক্ষেপ! মুখ থুবড়ে পড়ল BANK NIFTY! ‘কল’ না ‘পুট’? খেলা দেখাবে কে?

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের নিয়মের ক্ষেত্রে আরও কড়া ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক  (আরবিআই)। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে নয়া নিয়ম লাগু হতে চলেছে৷ পাশাপাশি ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে কনজিউমার ক্রেডিট এক্সপোজারের রিস্ক ওয়েট৷ মাত্র এক মাস আগেই এনবিএফসি (NBFC) ও ব্যাঙ্কগুলিকে অভ্যন্তরীণ নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছিল৷ এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ করা হল৷ আর এই পদক্ষেপের পরই মুখ থুবড়ে পড়ল BANK NIFTY! ‘কল’ না ‘পুট’? খেলা দেখাবে কে? এই নিয়ে শুরু বাজারের চর্চা৷

এই ঝুঁকির বৃদ্ধির মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ অন্তর্ভুক্ত হলেও তা থেকে গৃহঋণ, শিক্ষাঋণ, যানবাহন কেনার ঋণ এবং গোল্ড লোনকে বাদ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরবিআই-এর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ‘পর্যালোচনার পর কনজিউমার ক্রেডিট এক্সপোজারের রিস্ক ওয়েট ২৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় আসছে ব্যক্তিগত ঋণও। তবে গৃহঋণ, শিক্ষাঋণ, যানবাহন ঋণ, সোনা এবং সোনার গয়নার ঋণ-নয়া নিয়মের আওতায় পড়বে না’। ‘রিস্ক ওয়েট’ হল সেই মূলধন যা ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতিটা ঋণের জন্য আলাদা করে বরাদ্দ রাখতে হয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড এক্সপোজারে রিস্ক ওয়েটও ২৫ শতাংশ বাড়ানোয় ব্যাঙ্কগুলিতে ১৫০ শতাংশ এবং এনবিএফসি-তে ক্রেডিট কার্ডের রিস্ক ওয়েট এবার ১২৫ শতাংশ হল।

বাজার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ঋণের জন্য যদি অতিরিক্ত মূলধন সংস্থাগুলিকে সরিয়ে রাখতে হয়, তাহলে সেই খরচ যদি গ্রাহকদের উপর চাপানো হয়, তাহলে ব্যক্তিগত ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যে নেওয়া ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাতে পারে৷ এই দুই ক্ষেত্রে বাড়তে পারে ইএমআইয়ের বোঝা৷ আর ব্যাঙ্ক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যদি গ্রাহকদের উপর এই বোঝা না চাপিয়ে দেয়,  তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি লাভের অংশ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যবসা কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

মূলত, এই আশঙ্কা বাজারে ছড়িয়ে পড়তেই হুড়মুড়িয়ে পড়েছে ব্যাঙ্কনিফটি৷ আজ দিনের শুরুতেই ব্যাঙ্কনিফটি খোলে ৫০০ পয়েন্ট নিচে৷ দিনের শেষে বাজার বন্ধ হয় ১.৩১ শতাংশ নিচে৷ আজ ৫৭৭ পয়েন্ট কমে ব্যাঙ্কনিফটি বন্ধ হয়েছে ৪৩,৫৮৩.৯৫ পয়েন্টে৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কনিফটি চলতি মাসের মধ্যে ৪৪ হাজারের সূচক ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অপশন ট্রেডাররা৷  কেননা, সবেমাত্র ব্যাঙ্কনিফটি ৪২ হাজারের জোন থেকে মাথা তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল৷ ৪৬ হাজারের জোন থেকে নিচে পড়ে গিয়েও উঠার চেষ্টা করছিল বাজার৷ কিন্তু, ৪৪ হাজারের গণ্ডি ছুঁতে না ছুঁতেই ফের সাড়ে ৪৩ হাজারে বন্দি ব্যাঙ্কনিফটি৷ ফলে, আগামী নভেম্বরের এক্সপায়ারি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চিন্তা৷ কেননা, যে সমস্ত অপশন ট্রেডাররা কল অশন কিনে পজিশন বাড়িয়েছিলেন, আজ ব্যাঙ্কনিফটি ৫০০ পয়েন্ট নিচে নামতেই তাঁদের বিপুল লোকসান হয়ে থাকতে পারে। আগামী দিনে পুট অপশন কতটা কাজে লাগতে পারে, তা নিয়েও রয়েছে বোঁয়াশা।

অপশন ডেটা বলছে, ৪৩৭০০ ও ৪৩৮০০-র ঘরে সবচেয়ে বেশি কল জমে আছে৷ ৪৩৫০০-এর ঘরে পুট জমলেও তা কলের তুলনায় খুবই কম৷ ফলে, নিচের দিকে এখনও তেমন কোনও সাপোর্ট জোন এখনও খুঁজে পাচ্ছেন না অপশন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷  একদিনের চার্ট প্যাটানে ব্যাঙ্কনিফটি ১০, ৩০, ৫০ EMA-র নিচে ট্রেড করছে৷ ১৫ মিনিটের চার্টে ৪৩৫৪৫-এ সাপোর্ট রয়েছে৷ ৪৩৫৪৫-এ ব্রেকডাউন হনে পরবর্তী সাপোর্ট ৪৩৩০৭-এ পরবর্তী সাপোর্ট রয়েছে৷ তবে, সোমবার সবটাই নির্ভর করছে বাজার গ্যাপডাউন অথবা গ্যাপআপ খোলার পর৷ তখনই বোঝা যাবে, কোথায় পজিশন তৈরি হচ্ছে৷    

এমনিতেই অপশন ট্রেডের বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কল অপশনের তুললায় কেনা পুট অপশনের গতি থাকে অনেক বেশি। তবে, সেই গতির স্থায়িত্ব খুবই কম। এক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কনিফটি ৪৩ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে ৪৪ হাজারে ঘরে যাবে নাকি ৪২ হাজারে ফিরবে, সেটাই এখন দেখার৷   

মনে রাখা জরুরি, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে অবশ্যই টেকনিক্যাল, ফান্ডামেন্টাল এবং ঝুঁকির দিক বিবেচনা করেই হবে৷ ট্রেডিং করার আগে প্রয়োজনে স্টক মার্কেট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন৷ LIVE শেয়ার বাজারে শিক্ষামূলক টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন আপনিও৷ ট্রেডিং দক্ষতা বাড়াতে যুক্ত হতে পারেন PREMIUM Options Calls – Nifty & Bank Nifty Calls – Index Options Trading— এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে৷ https://t.me/NiftyBankNiftyIndexOptionsCalls  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 4 =