ভিক্ষার হাতিয়ার হওয়া থেকে রক্ষা পেল শিশু, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া

তিয়াষা গুপ্ত: সংবাদপত্রকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অন্যায় রুখে দিয়েছে সংবাদপত্র। এবার সেই ভূমিকাই পালন করল সোশ্যাল মিডিয়া। দ্রুত একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই রুখে দেওয়া হল এক কুতসিৎ প্রবণতা। এক শিশুকে হাতিয়ার করে দিব্যি চলচ্ছিল ভিক্ষার নামে রোজগার। শিশুটির নাম জিজ্ঞেস করতেই চম্পট দেয় সেই মহিলা। আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় সেই ভিডিও

ভিক্ষার হাতিয়ার হওয়া থেকে রক্ষা পেল শিশু, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া

তিয়াষা গুপ্ত: সংবাদপত্রকে বলা হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অন্যায় রুখে দিয়েছে সংবাদপত্র। এবার সেই ভূমিকাই পালন করল সোশ্যাল মিডিয়া। দ্রুত একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই রুখে দেওয়া হল এক কুতসিৎ প্রবণতা। এক শিশুকে হাতিয়ার করে দিব্যি চলচ্ছিল ভিক্ষার নামে রোজগার। শিশুটির নাম জিজ্ঞেস করতেই চম্পট দেয় সেই মহিলা। আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পদক্ষেপ নিতে পুলিশের বেশি সময় লাগেনি।

পুনের এক সমাজকর্মী কানোজিয়ার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে এই মহিলার কুকীর্তির ছবি আসে। কোরেগাঁও পার্কে সে এই শিশুটিকে কোলে নিয়ে ভিক্ষা করছিল। বাচ্চার নাম জিজ্ঞেস করতেই যেন চোখে সরষে ফুল! তারপর গা ঢাকা!

ভিক্ষার হাতিয়ার হওয়া থেকে রক্ষা পেল শিশু, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়াএই সমাজকর্মী ছবি ফেসবুকে দিয়ে বাচ্চা ও এই মহিলার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তিনি তাঁর বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি ছড়িয়ে দেন। কানোজির প্রায় ৫০০০ বন্ধু। তাঁদের মধ্যে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। পুনের সাব ইন্সপেক্টর মোহিনী ডোঙ্গরে দ্রুত মহিলার খোঁজ শুরু করেন। পরে পুলিশের তৎপরতায় সেই মহিলার খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ সেই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জেরা করে। জানতে পারে, তার এক আত্মীয় এই শিশুটিকে দিয়েছে ভিক্ষা করার জন্য। প্রিভেনশন অফ বেগিং অ্যাক্ট অর্থাৎ ভিক্ষা প্রতিরোধ আইনে এই মহিলা ও শিশুর অভিভাবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে শিশুকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার, তাও আবার ভিক্ষার হাতিয়ার শিশু!

ভিক্ষার হাতিয়ার হওয়া থেকে রক্ষা পেল শিশু, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়াএই ঘটনার পর পুলিশ ওই সমাজকর্মী ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আজকে এই ছবি ভাইরাল না হলে কোথায় হারিয়ে যেত ওই শিশুর ভবিষ্যৎ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =