তিয়াষা গুপ্ত: আসন রফা নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে। সম্ভবত শনিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জোটের কথা ঘোষণা করবেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব ও বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসকে তাঁদের দরকার নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে এসপি৷ দিল্লিতে ৫ রাজ্যের ফলাফলের আগের দিন বিরোধীদের বৈঠকে যাননি অখিলেশ ও মায়াবতীর কোনো প্রতিনিধি। এদিকে ভোটের ফলে চাঙ্গা হয়ে তেলঙ্গানারা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কংগ্রেস ও বিজেপির বিরোধী জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন৷ তিনি কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন৷ ফলে দিদি ১৯-এ কার সঙ্গে শেষপর্যন্ত থাকবেন, তানিয়ে জোর জল্পনা চলছে। তিনি প্রথম থেকে রাহুলের সঙ্গে বিরোধীদের বৈঠকে থেকেছেন৷ তবে রাহুলের নেতৃত্ব মমতা গ্রহণ করবেন? সেই সম্ভাবনা তিনি আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন৷
এদিন বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি যৌথ প্রেস রিলিজ বের করে শনিবার জোট গঠনের কথা জানিয়েছে। এসপি ও বিএসপির মধ্যে আসন রফা প্রায় পাকা। শুক্রবার দিল্লিতে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ও এসপি নেতা অখিলেশের মধ্যে কথা হয়েছে। ইঙ্গিতটা আগেই মিলেছিল৷ কংগ্রেসের সঙ্গে উত্তর প্রদেশে জোট করার কোনো তাগিদই অনুভব করল না বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি৷ এসপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কংগ্রেসকে দরকার নেই। বুয়া-বাবুয়া নিজেরাই একশ। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে তাদের কংগ্রেসকে পাশে নেওয়ার দরকারই পড়বে না। একইসঙ্গে এসপি কংগ্রেসকে উত্তর প্রদেশে অপ্রাসঙ্গিক শক্তি বলেও কটাক্ষ করে৷
সূত্রের খবর, এসপি-বিএসপি জোট রায়বরেলি ও আমেঠি কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে৷ রায়বরেলি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও আমেঠি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র৷ এই ২ কেন্দ্রে বহু বছর থেকে কংগ্রেসই প্রতিনিধিত্ব করছে। এছাড়া বাকি কোথাও কংগ্রেসকে জমি ছাড়তে নারাজ বুয়া কিংবা বাবুয়া৷
দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে মমতা গিয়েছিলেন৷ পরে কেসিআর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব রেখে চলবেন। এই অবস্থায় ১৯-এ কতগুলি জোট হবে? তার চেহারা কেমন হবে? কে শেষপর্যন্ত কোন দিকে থাকবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে৷ সবাই মমতাকে পাশে চাইছেন। দেখা যাক দিদি এখন কী করেন৷