নয়াদিল্লি: রাফাল দূরের কথা। ভারতের তেজসেরই সমকক্ষ নয় পাকিস্তানের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭। রাফালের পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান চিনের কাছে থেকে নতুন প্রযুক্তির জেএফ-১৭ কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান বিমান বাহিনী ৬২টি জেএফ-১৭ বিমান তাদের বাহিনীতে যুক্ত করতে চায়।
কিন্তু, রাফাল নয় তেজসের সমকক্ষই নয় জেএফ-১৭, এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে তেজসের অস্ত্র সমন্বিত অত্যাধুনিক ভার্সানটি এখন অনেকটাই শক্তিশালী। আর এই কৃতিত্ব পুরোটাই হ্যালের। পাকিস্তানের জেএফ-১৭ তৈরি করেছে চিনের চেংদু এয়ারক্র্যাফট কর্পোরেশান। এদিকে নতুন লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস শুধু ‘এফওসি’ অর্থাত্ ‘ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায়’। এই মুহূর্তেও পাকিস্তানের কয়েকটি জে-এফ ফাইটার ১৭ ব্লক ২ রয়েছে। চিনের কাছে জে-এফ ফাইটার ১৭ ব্লক ৩ কেনার তদ্বিরও চালাচ্ছে। কিন্তু জেএফ-১৭ ফাইটারে কোনো হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে নেই। অথচ তেজসে কিন্তু সেটা রয়েছে। এর ফলে ডগ ফাইটে এগিয়ে ভারত।
এইধরনের হেলমেট পরে পাইলট যে দিকে তাকাবে ক্ষেপণাস্ত্র সেটাকে টার্গেট করবে। জেএফ-১৭ এর কোনও ব্লকেই নেই মিড এয়ার রিফিউলার। অর্থাৎ বিমানে থাকা জ্বালানি বিমানের শেষ সম্বল। কিন্তু নতুন তেজস সেই বাধা কাটিয়ে উঠেছে। তেজসকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধ বিমান। সেখানে জেএফ-১৭ ব্লক ৩ চতুর্থ জেনারেশনের বিমান। তেজস কে রেডারে ধরা অত্যন্ত কঠিন কারন তেজসের বডির ৬০শতাংশ তৈরি কার্বন কম্পোজাইট দিয়ে তৈরি। সেখানে জেএফ-১৭ মেটাল বডি। তাছাড়া অতি উচ্চতায় মিশন পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে তেজস। তাছাড়া তেজসে রয়েছে ‘এইএসএ’ রেডার টেকনোলজি, যা দিয়ে দ্রুত লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে তেজস। পাকিস্তানের এই সিরিজের বিমানের মধ্যে একমাত্র শক্তিশালী জে-এফ ফাইটার ১৭ ব্লক ৩। ২০২২ সালের মধ্যে ২৮টি নতুন জেএফ-১৭ ব্লক-৩ যুক্ত করতে চায় পাকিস্তান।