বিষ খেয়েও প্রেমের জয়, হাসপাতালেই চার হাত এক যুগলের

হায়দরাবাদ: দিদির দেওরকে বিয়ে করতে চাওয়ায় অভিভাবকরা মত দেননি, উল্টে বকাঝকা করেছেন। তাই তীব্র ক্ষোভে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর উনিশের তরুণী রেশমা। এদিকে প্রেমিকা বিষ খেয়েছে সেই খবরে বিমর্ষ ছিলেন প্রেমিক প্রবর নওয়াজ। রেশমাকে হাসপাতালে দেখতে এসে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের থেকে বিষের শিশি কেড়ে নিয়েই এই কাণ্ড ঘটান ওই যুবক,

বিষ খেয়েও প্রেমের জয়, হাসপাতালেই চার হাত এক যুগলের

হায়দরাবাদ: দিদির দেওরকে বিয়ে করতে চাওয়ায় অভিভাবকরা মত দেননি, উল্টে বকাঝকা করেছেন। তাই তীব্র ক্ষোভে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর উনিশের তরুণী রেশমা। এদিকে প্রেমিকা বিষ খেয়েছে সেই খবরে বিমর্ষ ছিলেন প্রেমিক প্রবর নওয়াজ। রেশমাকে হাসপাতালে দেখতে এসে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের থেকে বিষের শিশি কেড়ে নিয়েই এই কাণ্ড ঘটান ওই যুবক, তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসা শুরু হলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এদিকে পাকস্থলী ওয়াশ করে ততক্ষণে রেশমাকেও সুস্থ করা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের ভিকারাবাদ এলাকার এক হাসপাতালে।

তাঁর সুস্থ হলে যুগলের থেকে আত্মহননের চেষ্টার কারণ সম্পর্কে বিশদে জানেন চিকিৎসকরা। তারপর যুবক ও যুবতীর পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের তরফে বোঝানো হয়, দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক রেশমা উনিশ নওয়াজ একুশ, ওঁদের বিয়ে দিয়েদিন। নাহলে ফের অঘটন ঘটতে পারে। এই কথায় দুই পরিবারের অভিভাবকরা সম্মতি দিলে হাসপাতালেই কাজি ডেকে বিয়ে হয়ে যায় রেশমা নওয়াজের। একেবারে হিন্দি ছবির প্লট বলতে পারেন।

ভিকারাবাদের কুক্কিনধার বাসিন্দা রেশমাদের। বছর দুয়েক আগে তাঁর দিদির সঙ্গে নওয়াজের দাদার বিয়ে হয়। সেই সময় থেকে দুই তরুণ তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুবছর তাঁরা কাউকেই কিছু জানাননি। বয়স আঠেরো পেরোতেই বাবা-মাকে বিষয়টি বলেন রেশমা, পত্রপাঠ তা নাকচ হয়ে যায়। এরপরেই আত্মহননের পথ বেছে নেন ওই তরুণী।তবে শেষ ভাল যার সব ভাল তার, বিয়েটা তো হয়েছে। হোক না তা হাসপাতাল, দুটি প্রিয় মানুষ সকলের শুভেচ্ছা পেয়ে একসঙ্গে জীবন কাটানোর ছাড়পত্র পেয়েছে, এটাই তো বড় কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − seven =