এত জোট! তরজা অনেক, লক্ষ্য এক

তিয়াষা গুপ্ত: আজ একদফা মায়ার খেলার সাক্ষী থাকল দেশ, সঙ্গে বাবুয়া। এই নিয়ে দিল্লির রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসকে সঙ্গে না নিয়েই বুয়া বাবুয়া হাত মেলালেন। বিজেপি এই জোট প্রয়াস নিয়ে সমালোচনা করছে, কিন্তু এনিয়ে তাদের উদ্বহু নৃত্য করবার যথেষ্ট কারণ আছে। কেন ? বাবুয়া এদিন অল আউট আক্রমণে যাননি। কারণ স্পষ্ট নয়। যদিও আগে

এত জোট! তরজা অনেক, লক্ষ্য এক

তিয়াষা গুপ্ত: আজ একদফা মায়ার খেলার সাক্ষী থাকল দেশ, সঙ্গে বাবুয়া। এই নিয়ে দিল্লির রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসকে সঙ্গে না নিয়েই বুয়া বাবুয়া হাত মেলালেন। বিজেপি এই জোট প্রয়াস নিয়ে সমালোচনা করছে, কিন্তু এনিয়ে তাদের উদ্বহু নৃত্য করবার যথেষ্ট কারণ আছে। কেন ?

বাবুয়া এদিন অল আউট আক্রমণে যাননি। কারণ স্পষ্ট নয়। যদিও আগে তিনি ও তাঁর দলের নেতারা প্রকাশ্যে কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এদিন মায়াবতী কংগ্রেস ও বিজেপিকে একসঙ্গে নিশানা করলেন। বললেন, বোফোর্স কেলেঙ্কারিতে কংগ্রেস ১৯৭৭ সালে ক্ষমতা থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এবার রাফালে বিজেপির পতনের কারণ হবে।

এদিন বুয়ার হয়ে আস্তিন চালালেন বাবুয়া। বললেন, মায়াবতীর সম্মান, তাঁর সম্মান, মায়াবতীর অপমান তাঁর অপমান। অর্থাৎ জোটের বন্ধন যে দৃঢ় সেই বার্তাই দিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব।

এরপর এই নিয়ে আসরে নামতে দেরি করেননি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কথায়, এটা দুর্নীতি ও ক্ষমতা দখলের জোট। রাজ্য রাজনীতিকে অস্থির করে দেওয়াই লক্ষ্য। তবে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বেশ নরম সুরে এখনও এসপি-বিএসপির সঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলেন। তাঁর কথায়, প্রয়োজন পড়লে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে একার চেষ্টায় লড়বে। তবে এখনো ভোটের আগে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে।

রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং বলেন, তিনি সবসময় মুলায়মের সঙ্গেই থাকবেন। এছাড়া প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি (লোহিয়া)-র নেতা শিবপাল যাদব বলেন, তাঁদের ছাড়া জোট অসম্পূর্ণ। শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ কোনো ফ্রন্টই বিজেপিকে হারাতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও তাই বলছেন। বিজেপিকে ঠেকাতে চাইছেন সবাই। সেই লক্ষ্যে সবাই জোট করছেন। কে কার সঙ্গে যাচ্ছেন, কী তাঁদের লক্ষ্য, নির্বাচনী এজেন্ডাই বা কী তা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই।

ধরা যাক, বুয়া-বাবুয়া জোট। এতো শুধু উত্তর প্রদেশের ভোট নয়। কিংবা লোকসভায় উপনির্বাচনে তাঁরা সাফল্য পেয়েছন ঠিক। কিন্তু শুধু একটা রাজ্যে জোট করে বিজেপিকে হয়ত এখানে ঠেকানো সম্ভব হবে, কিন্তু গোটা দেশে? রাহুলের জোট। ৫ রাজ্যে ভোটের আগে দিল্লিতে ২১ টি বিরোধী দল বৈঠক করে। আসেন কেজরিওয়াল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা জোটের জন্য বড় পাওনা। এরপরে চেন্নাইতে এক অনুষ্ঠানে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করে বসেন। তাতে বেশ চটে যান দিদি। সেই রাগ তিনি চেপেও রাখেননি।

এরপর কেসিআর জোট। তেলেঙ্গানায় ভালো ফল করার পর কেসিআর অকংগ্রেসি ও অবিজেপি জোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন। দেখা করেছেন নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও। কেউ তাঁকে আশা না দিলেও সবাই সম্ভবনা জিইয়ে রেখেছেন।

প্রশ্ন হল বিজেপি ঠেকাতে এত জোট! মোদী হাওয়া যদি গতি হারিয়ে থাকে তাহলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে একটা প্রবল প্রতিপক্ষের প্রয়োজন ছিল। সেটা মমতার মতো তাবড় নেতারা ভালোই বুজেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে এত জোট কার্যত সুবিধা করে দেবে না বিজেপিকে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − nine =