কার্তারপুর করিডর ১৯৪৭-এর ভুলের প্রায়শ্চিত্ত, মনমোহনের সামনে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী

নয়াদিল্লি : দেশ ভাগ নিয়ে মোদী ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। আগেও করেছেন। তফাৎ শুধু একটা জায়গায়। এবার সেই কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সামনে। কার্তারপুর করিডর ১৯৪৭ সালের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত। এভাবেই এদিন কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী। মনমোহন সিং এনিয়ে নীরব থেকে কী বোঝাতে চাইলেন? দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং-এর ৩৫০

কার্তারপুর করিডর ১৯৪৭-এর ভুলের প্রায়শ্চিত্ত, মনমোহনের সামনে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী

নয়াদিল্লি : দেশ ভাগ নিয়ে মোদী ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। আগেও করেছেন। তফাৎ শুধু একটা জায়গায়। এবার সেই কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সামনে। কার্তারপুর করিডর ১৯৪৭ সালের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত। এভাবেই এদিন কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী। মনমোহন সিং এনিয়ে নীরব থেকে কী বোঝাতে চাইলেন?

দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং-এর ৩৫০ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে স্ট্যাম্প স্মারক প্রকাশ করা হয় মোদীর বাসভাবনে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মনমোহন সিংও। ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী দাঙ্গার স্মৃতি খুঁচিয়ে তোলেন মোদী। এরজন্য কংগ্রেসকে বিঁধতে দ্বিধা করেননি মোদী। এরপর মোদী বলেন, ১৯৪৭ সালের আগস্টে একটা ভুল হয়ে গেছে। কার্তারপুর করিডর সেই ভুলের মাসুল। কিছু দূরেই আমাদের শিখ গুরুর সেই পবিত্র স্থান। এখন তা আর ভারতের মধ্যে ফিরে পাওয়া যাবে না। এই করিডর ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা মাত্র। তখন সামনে দর্শকাসনে মনমোহন সিং।

একটু ফিরে দেখা যাক। সময়টা ১৯৯৯। তখন দিল্লি লাহোর বাস যাত্রা শুরু করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। গত বছর ২২ নভেম্বর মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে করিডর তৈরির বিষয়টি অনুমোদন করা হয়। এরপর ২৬ নভেম্বর ভারতের দিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর ঠিক ২ দিন পর পাকিস্তানও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। উদ্দেশ্য ২ দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের সেতুবন্ধন।

কার্তারপুর করিডর বন্ধুত্বের সাঁকো হয়ে উঠতে পারবে? ভারত বিভিন্ন সময়ে বন্ধুতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। তারপরেও বন্ধ হয়নি প্রতিবেশী দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষা। পাকিস্তান বন্ধ করেনি সন্ত্রাস রফতানি। বন্ধ হয়নি সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন। কাশ্মীরের ঘুম ভাঙে গুলির আওয়াজে। রক্তপাত এতদিন পরেও বন্ধ হয়নি। দেশভাগের যন্ত্রণা বুকের মধ্যে থাকবে চিরকাল, কিন্তু এখনকার সন্ত্রাসবাদী হামলা বোধহয় বেশি যন্ত্রণাদায়ক। কারণ আঘাতটা অনেক টাটকা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − thirteen =