নয়াদিল্লি: দেশে চালু সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ১০টি তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া ঢালাও নজরদারির লাইসেন্স প্রসঙ্গে কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র সহ একাধিক জনৈক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে এদিন মামলার শুনানি হয়। সেখানেই আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নজরদারির জন্য ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। এর বিরুদ্ধে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন।
সন্দেহ হলেই এবার আপনার কম্পিউটার, মোবাইল, ডেটা ব্যবহারের উপর নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই মর্মে ছাড়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা৷ ওই মামলার শুনানিতে আজ, কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর৷
এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কোনও ব্যক্তির ফোনে আড়িপাতার উপর ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র৷ এবার সরাসরি কম্পিউটারে উঁকি দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের এই নির্দেশের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়াতা রক্ষার অধিকার, আশঙ্কা পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷
জানা গিয়েছে, নয়া এই নির্দেশের জেরে এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা চাইলে আপনার কম্পিউটারের উঁকি দিতে পারবে৷ কম্পিউটারে রাখা সমস্ত নথিও হাতাতে পারবেন গোয়েন্দারা৷ কম্পিউটারের পাশাপাশি ফোন ও ডেটার ব্যবহারের উপরও নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ কোথায় কত সময় কী কথা হচ্ছে, কিংবা কোন ওয়েবসাইট কে কী দেখছে, কোথায় কোথায় ম্যাসেজ চালাচালি হচ্ছে, তাও উপরও নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ ফলে, গোপনীয়তা বলে আর কিছুই থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
কেন্দ্রের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীদলগুলি৷ শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হতে লোকসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বিরোধীদের সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু যুক্তিও দিয়েছে কেন্দ্র৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতেই এই নির্দেশ বলে বিরোধীদের আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্র৷