জয়পুর: বারবারে গোরক্ষকদের তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করেছে দেশ। গো-মাতার সাধনায় মগ্ন থেকেছে বিজেপি। এবার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অবাঞ্চিত গরুদের ঠিকানা দিতে উদ্য়োগী হল রাজ্য সরকার। না, এই রাজ্য বিজেপি শাসিত নয়। রাজস্থান, সদ্য এখানে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, পথের অবাঞ্চিত গরুদের ঘরে নিয়ে পোষ্য করলে তাঁদের ১৫ আগস্ট ও ২৬ জানুয়ারি এই ২ বিশেষ দিনে পুরস্কার দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট অফ গোপালন জেলা শাসকদের চিঠি দিয়েছে। এনজিও, সমাজকর্মী, গো প্রেমীদের এব্যাপারে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। গৃহপালিত পশুর রক্ষণাবেক্ষণ, গবেষণা ও উন্নতির ব্যাপারে কাজ করে ডিরেক্টরেট অফ গোপালন।
ডিরেক্টরেট অফ গোপালন বিশ্বরাম মিনা বলেন, যাঁরা পথের গরুদের ঘরে নিয়ে এসে সুরক্ষার ব্যবস্থা করবেন, তাদের রক্ষা করবেন, সেই সব পরিবার ও তার সদস্যদের পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কৃত করবে জেলা শাসক। পুরস্কার দেওয়া হবে স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসের পুণ্যক্ষণে।
গৃহপালিত পশুর সুরক্ষায় যাতে আরো বেশি করে মানুষ অগ্রণী হয়, সে ব্যাপারে তৎপর হতে, তাঁদের উৎসাহিত করতে জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ধরণের কাজে উৎসাহিত হবেন, তাঁরা এব্যাপারে জেলা শাসকের কাছে প্রস্তাব জমা দিতে পারেন। এব্যাপারে উপযুক্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক। অর্থাৎ সত্যিই যে গো-রক্ষণের কাজ কেউ করছেন, তা হাতানাতে প্রমাণ দিতে হবে, তারপর জেলাশাসক তাঁদের শংসাপত্র ও পুরস্কার দেবেন। পরিদর্শক থাকবেন, যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন, সত্যিই গোপালন হচ্ছে কিনা।
সম্প্রতি কলকাতায় একটি সরকারি হাসপাতাল ১৬ টি কুকুরের বাচ্চা উদ্ধার হয়েছে। কে বা করা তাদের মেরে গেল, তা স্পষ্ট নয়। ফলে রাস্তার গরু রক্ষার্থে এধরণের পদক্ষেপ স্বাগত জানাচ্ছেন পশুপ্রেমীরা। প্রশ্ন হল, এত ইস্যু নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে কংগ্রেস, তাহলে এখন তাদের গো-মাতার স্মরণ কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত?