লখনউ: আগেই মায়াবতী-অখিলেশের জোটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শেষপর্যন্ত কোনদিকে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে লালুপুত্র তেজস্বী এদিন বুয়া-বাবুয়ার জোট সমর্থন করলেন। অখিলেশের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির কাছ থেকে উত্তর প্রদেশ ও বিহারে ১২০ টি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেন।
এদিন টিপুকে পাশে নিয়ে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশের জোটকে সমর্থন করবেন। তাঁর কথায়, আমরা বিহার ও উত্তর প্রদেশে ১২০ টি আসন বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিতে তৈরি। তাই এই জোটকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিএসপি সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করার পর তেজস্বী বলেন, আমি অখিলেশজি ও মায়াবতীজি কে অভিনন্দন জানাই। তাঁরা জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে জোট করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা জরুরি ছিল। লালু প্রসাদ যাদবের জেলে থাকার জন্য তিনি আগেও বিজেপিকে দায়ী করেছেন। এদিনও করলেন। তাঁর কথায়, বিজেপি লালুকে ভয় পাওয়ায় জেলে পাঠিয়েছে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালু জেলে। তাঁর পুত্রের কথায়, সিবিআই ও ইডি কোনো তদন্তকারী সংস্থা নয়, এরা বিজেপির শরিক।
কংগ্রেসকে জোট থেকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন, এই রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে বুয়া-বাবুয়া নিজেরাই একশ। ফলে কংগ্রেসের প্রয়োজন নেই। যদিও মায়া-অখিলেশ আমেঠি ও রায় বরেলি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখেছে। কারণ এই ২ কেন্দ্র কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে কংগ্রেস ও নীতীশের দলের সঙ্গে মহাজোট গড়ে তাঁরা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু লালু কেলেঙ্কারিতে ডুবে যেতেই নীতীশ জোট ছেড়ে বেড়িয়ে বিজেপির সমর্থন নিয়ে নতুন করে সরকার গড়েন। তারপর বিভিন্ন সময় বিহারেই বিজেপির সঙ্গে আসন রফা নিয়ে নীতীশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। শেষপর্যন্ত অমিত শাহর হস্তক্ষেপে রফাসূত্র বেরিয়েছে। কিন্তু নীতীশের জোট ছাড়া ও লালুর জেলে যাওয়া- সবমিলিয়ে বিজেপিকে বারেবারে দায়ী করেছে আরজেডি। তাই মায়াবতী-অখিলেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তেজস্বী বিজেপিকে ধাক্কা দিতে চান।
বুয়া-বাবুয়ার জোটকে দিদি শুভেচ্ছা জানালেও তাঁদের সঙ্গে যাওয়ার বার্তা কোনোমতেই দেননি। তাঁকে আগেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর পাশে চেয়েছেন। দিদি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি। এখন সারা দেশে জোট জটিলতা তুঙ্গে। জল কোথায় গড়ায় সেটাই দেখার।