অলোক ভার্মাকে সরানোর তথ্য প্রকাশ্যে আনুক সরকার, মোদীকে চিঠি খাড়গের

নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে সরানো নিয়ে তথ্য প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এব্যাপারে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। ২ পাতার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিবিসি) কী বলেছিল, কী বলা হয়েছিল বিচারপতি পট্টনায়কের রিপোর্টে। ভার্মা অপসারণ করতে ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিটির যে বৈঠক হয়েছিল, তার কার্যবিবরণী (মিনিটস) প্রকাশ্যে

অলোক ভার্মাকে সরানোর তথ্য প্রকাশ্যে আনুক সরকার, মোদীকে চিঠি খাড়গের

নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে সরানো নিয়ে তথ্য প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এব্যাপারে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। ২ পাতার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিবিসি) কী বলেছিল, কী বলা হয়েছিল বিচারপতি পট্টনায়কের রিপোর্টে। ভার্মা অপসারণ করতে ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিটির যে বৈঠক হয়েছিল, তার কার্যবিবরণী (মিনিটস) প্রকাশ্যে আনা হোক। সিবিআইয়ের নতুন প্রধান বেছে নেওয়ার জন্য ডাকা হোক হাই পাওয়ার্ড সিলেকশন কমিটি অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচক কমিটির বৈঠক।

খাড়গে তাঁর চিঠিতে নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগকে অবৈধ বলে উল্লখ করেছেন। তাঁর দাবি, আর দেরি না করে নির্বাচক কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন সিবিআই প্রধান নিয়োগ করা হোক। তাঁর অভিযোগ, নিয়ম মেনে ও আইন অনুয়ায়ী অলোক ভার্মাকে সরানো হয়নি।

এদিকে সোমবারই সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে এম নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। `কমন কজ’ নামে এক এনজিও-এর তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদন করেন। ১০ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন নিয়োগ কমিটি নাগেশ্বর রাওয়কে পুনরায় সিবিআই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের পদে নিয়োগ করতে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা খারিজের আবেদন করা হয়।

প্রশান্ত ভূষণ তাঁর আবেদনে বলেছেন, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এর ৪ এ ধারা অনুযায়ী আদালত কেন্দ্রকে রেগুলার সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের অনুমতি দিক। সিবিআইয়ের ২ কর্তার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠায় অক্টোবরের মাঝরাতে আচমকা বিজ্ঞপ্তি জারি করে অলোক ভার্মাকে ডিরেক্টর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আরেক কর্তা আস্তানাকেও।

এর বেশ কিছুদিন পর সিবিআই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খায় কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করা হয় অলোক ভার্মাকে। সুপ্রিম কোর্ট ভর্মাকে পুনর্বহাল করার পর তিনি দায়িত্ব ফিরেই যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না সরকার। সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরানোর পর অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর পদে আনা হয় এম নাগেশ্বর রাওকে। অলোক ভার্মাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা তিনি গ্রহণ করতে রাজি হন না। এরপর নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ ও অলোক ভার্মাকে সরানো নিয়ে বারেবারে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − six =