উত্তরাখণ্ড: দিনে দিনে ফিরছে কুসংস্কার, ২০১৯-এ এসে এই সারসত্য ফের প্রমাণিত হল এই। একটা সময় পিরিয়ড চলাকালীন ঋতুমতী মহিলাদের সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হত। সেই কয়েকটি দিনেরজন্য ওই মহিলাকে অশুদ্ধ হিসেবে দাগিয়ে দিয়ে বাড়ির কোনও একঘর বা বাড়ির অদূরে কোনও একঘরে বন্দি করে রাখা হত। তবে বর্তমানে এহেন মধ্যযুগীয় প্রথার প্রচল খুব একটা দেখা যায় না। তবে তাতে কি, কুসংস্কারের দোহাই দিয়ে সেই প্রথা ফিরিয়ে আনলেই হয়।হয়েছেও তাই,সরকারি অর্থানুকূল্যে ঋতুমতী মহিলাদের জন্য পিরিয়ড হাব তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। ঘটনাস্থল উত্তরাখণ্ডের চম্পায়তজেলার গুরচুরগ্রাম।
জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগেই সরকার থেকে গ্রামের উন্নয়ন বাবদ মোটা টাকা আসে গুরচুরগ্রাম পঞ্চায়েতে। সেই বরাদ্দ থেকে দুলক্ষ টাকা ব্যয়ে এই হাব তৈরি হয়। তারপর থেকে প্রতিমাসে গ্রামের মহিলারা একটি নির্দিষ্ট সময় এই ঘরেই থাকছেন। সম্প্রতি বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা রমেশচন্দ্র যোশীর উদ্যোগে জেলাশসক রণবীর সিং চৌহানের নজরে আসে। গ্রাম পরিদর্শনে এসে এই পিরিয়ড হাব দেখে তাঁর চক্ষুস্থির, সঙ্গেসঙ্গে বাড়িটি পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান মুকেশ যোশীকেও তিরস্কার করেছেন জেলাশাসক। কে কেন এই ঘর তৈরির নির্দেশ দিলেন তা বিশদে জানতে চেয়েছেন। এদিকে জবাবদিহির উত্তরে বাড়িটিকে পিরিয়ড হাব মানতে নারাজ মুকেশ। তাঁর দাবি এটি জনমিলন কেন্দ্র। এলাকার মানুষদের দুঃখ দুর্দশা তিনি শুনবেন বলে এই বাড়ি তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক বাড়িটি সম্পর্কে যা তথ্য পেয়েছেন, তা আসলে তাঁরবিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় নরম হননি রণবীর সিং চৌহান, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি অর্থে কীকরে এমন বাড়িতৈরি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযু্ক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।