মমতার ব্রিগেডে রাহুলের সমর্থন, সোনিয়া পুত্রের খোলা চিঠি

কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশের আগে বড় জয় পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে হারাতে শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করে আজ, শুক্রবার খোলা চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ চিঠিতে দেশ থেকে বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়েছেন তিনি৷ নিজে সভায় উপস্থিত থাকতে পারবে না জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সোনিয়া পুত্র৷ মমতার ব্রিগেডের সভা থেকে

মমতার ব্রিগেডে রাহুলের সমর্থন, সোনিয়া পুত্রের খোলা চিঠি

কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশের আগে বড় জয় পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে হারাতে শনিবারের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করে আজ, শুক্রবার খোলা চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ চিঠিতে দেশ থেকে বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়েছেন তিনি৷ নিজে সভায় উপস্থিত থাকতে পারবে না জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সোনিয়া পুত্র৷ মমতার ব্রিগেডের সভা থেকে নতুন ভারতের জন্ম নেবে বলে খোলা চিঠিতে লিখেছেন রাহুল৷

এদিন খোলা চিঠিতে রাহুল রেখেন, ‘‘বিজেপি দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে৷ এটা পতন হওয়া উচিত৷’’ মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়ে রাহুলের বার্তা, ‘‘বিজেপি বিরোধীর জোটের কলকাতার মঞ্চ থেকে নতুন ভারতের জন্ম দেবে৷’’ মমতার ব্রিগেড সমাবেশ কংগ্রেসর কী অবস্থান হবে, তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জলঘোলা হতে থাকে৷ বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুন খাড়গকে ব্রিগেডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কংগ্রেস অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল৷ আজ, রাহুলের চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই ফের মহাজোটের পথে মমতাকে আরও কিছুটা অক্সিজেন যোগাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷

কেননা, এবারের ব্রিগেডের অন্যতম লক্ষ্য, বিজেপি বিরোধী সব দলকে এক মঞ্চে হাজির করা৷ সেই মতো আজ শুক্রবারই কলকাতায় হাজির হয়ে যাবেন দেশের তাবড় নেতারা৷ সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শারদ পাওয়ার, জেডিইউ নেতা শারদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, বিএসপি’র রাজ্যসভার নেতা সতীশ মিশ্র, ডিএমকে’র নেতা স্ট্যালিন, গুজরাতের নেতা হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেওয়ানি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুন খাড়গে এবং অসমের ইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল৷

তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে ক্যাম্প করে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দলীয় সংসদ সদস্যরা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের প্রটোকল অফিসাররা বিমানবন্দরে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানাবেন। তাঁদের সহযোগিতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের আপ্ত সহায়ক রতন মুখোপাধ্যায়। জাতীয় স্তরের নেতাদের দেখভালের জন্য তিনিও কলকাতায় চলে এসেছেন৷

বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সহ তিনজন বাদে সব নেতাই শুক্রবার শহরে চলে আসবেন। রাতে শহরে থেকে পরের দিন যোগ দেবেন ব্রিগেড সমাবেশে। ব্রিগেড সমাবেশের পর বিকেল চারটের সময় আলিপুরের সৌজন্য ভবনে চা চক্রের আসরে যোগ দেবেন জাতীয়স্তরের নেতারা। সেখানেই মোদি বিরোধিতার একটি রূপরেখা তৈরি হবে। অধিকাংশ নেতাই শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা ছাড়বেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী মিলিয়ে প্রায় ২০ জন জাতীয়স্তরের নেতা হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে। তবে কর্ণাটকে উদ্ভূত রাজনৈতিক ডামাডোলের জেরে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + eight =