কর্নাটক: একদিনের অজ্ঞাতপরিচয় সদ্যোজাতকে স্তন্য পান করিয়ে মানবিকতার অনন্য নজির গড়লেন বেঙ্গালুরু পুলিশে কর্মরত এক কনস্টেবল। ওই মহিলা কনস্টেবলের নাম সঙ্গিথা এস হামিলানি।বছর পঁচিশের ওই কনস্টেবল গত ১৬ জানুয়ারি ভোরবেলা কর্নাটকের জিকেভি ক্যাম্পাসের রাস্তায় ওই সদ্যোজাতকে পড়ে থাকতে দেখেন। শিশুকন্যাটি তখন তারস্বরে কেঁদে চলেছে, স্থানীরা উৎসুক দৃষ্টিতে গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।সঙ্গীতা দ্রুত সেই ভিড় লক্ষ্য করে এগিয়ে যান, পুলিশ দেখেই কৌতূহলি ভিড়টা পাতলা হতে শুরু করে। তিনি তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে কোলে নিয়ে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যান।চিকিৎসকদের তরফেও তৎপরতার সঙ্গে শিশুটির যত্ন নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়।
সঙ্গীতা নিজেই চিকিৎসকদের জানান,তিনি শিশুকন্যাকে স্তন্যপান করাতে আগ্রহী। বস্তুতপক্ষে ওই সময়শিশুটির খাবারের প্রয়োজনীয়তাও ছিল,তাই সঙ্গীতার ইচ্ছে সবাই সাধুবাদ জানান। প্রায় মিনিট পনেরো স্তন্যপানের পর শিশুটি খানিকটা স্বাভাবিক হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সদ্যোজাতকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ওই শিশুকন্যা সুস্থ সবল বলে এই মারধরে তার প্রাণ যায়নি, তবে সারারাত খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় মারাত্মক ঠান্ডা লেগেছে।সংক্রমণ থেকে শুরু করে সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাকে স্থানীয় শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে চাইল্ড কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা চলছে তাঁর। সুস্থ হয়ে গেলে শিশুকন্যাকে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের কর্ণাটক শাখার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
শিশুটর এই সুস্থ হয়ে ওঠার পথে ওই মহিলা কনস্টেবলের অবদানকে সবাই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।তিনি যে কাজ করেছেন তার কাছে যেকোনও প্রশংসাই সামান্য। তবে প্রশংসায় ভেসে যেতে রাজি নন কনস্টেবল সঙ্গীতা,তিনি জানান শিশুটিকে কাঁদতে দেখে তাঁর ১১মাসের মেয়ের কথা মনে পড়ছিল, তাই মায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।