নয়াদিল্লি: ফাল দূর্নীতিতে বড় রকমের ভূমিকা রয়েছে মনোহর পর্রীকরের, গতকাল টুইট করে এই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এদিন কোচির জনসভায় দাঁড়িয়ে পুরো উলটো কথা বললেন সেই রাহুল। এদিন কংগ্রেস সভাপতি জানান, দীর্ঘদিন ধরে অগ্ন্যাশয়ের সংক্রমণ জনিত রোগে ভুগছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকর। তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বিমান রাফাল নিয়ে কেন্দ্র যে দ্বিতীয়বারের চুক্তিটি করেছে সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। এদিকে কংগ্রেস সভাপতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এদিন কোচির জনসভাতেই দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দেন রাহুল।তিনি বলেন কেরালায় ক্ষমতাসীন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়বে কংগ্রেস। একইভাবে দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে হবে লড়াই। নরেন্দ্র মোদি গত পাঁচবছরে কোনও গঠনমূলক কাজ করেননি, শুধু ভাগাভাগি করে সময় নষ্ট করেছেন। তাঁর আমলে ধর্ম ও টাকার অঙ্কের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়েছে। ধনীদের তিনি আরও অর্থবান করেছেন, আর কৃষিজীবীদের ঋণের ভারে জর্জরিত করে মৃত্যুর দিয়ে ঠেলে দিয়েছেন। বিজেপি তার ১৫জন বিশ্বস্ত বন্ধুর ম্যাক্সিমাম রোজগারের পথ সুনিশ্চিত করলেও আম ভারতীয়র মিনিমাম রোজগারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
কৃষকরা ঋণ শুধতে না পেরে আত্মহ্ত্যা করছেন, আর মোদির বন্ধু, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, নীরব মোদি কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করেই দেশে থেকে উধাও হয়েছে। অনীল অম্বানিরা আয়কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। এসবই চলছে গোটা দেশজুড়ে। সেনার সঙ্গে মোদির সমস্যা, তাঁর দুর্নীতিতে সায় দেননি বিচারপতি লোয়া, তার পরিণাম কী হয়েছে সকলেই জানেন। দেশের অন্তত ১০জন বিচারপতি মোদির নিশানায় রয়েছেন, যাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না বর্তমান সরকার। এইসব দুর্নীতি নিয়েই মুখ খুলেছিলেন সিবিআই প্রধান আলোক বর্মা, তাই তাঁকে মধ্যরাতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
প্রতি বছরে দুকোটি তরুণ তরুণীর চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই সরকার, সেসব তো পূরণ করেইনি উলটে নোট বাতিলের জেরে দুকোটি ভারতীয় আজ বেকার। ছোট ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন, চাকরি খুইয়েছেন কত যুবক যুবতী। জিএসটি চালু করে নোটা বাতিলের মরার উপরে খাঁড়ার ঘা দিয়েছে কেন্দ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মরছে। আর উনি ধনীবন্ধুদের হাতকে আরও মজবুত করছেন। আগামী লোকসভায় মোদিকে ছুঁড়ে ফেলুন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জিএসটি-র রদবদলের প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল।