‘সংবিধান বাঁচাতে’ মমতার ধর্নায় সমর্থন জানালেন মহাজোটের নেতারা

কলকাতা: সালটা ছিল ২০০৬৷ ৪ঠা ডিসেম্বর৷ সিঙ্গুরে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে বিশাল মঞ্চ বেঁধে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন৷ সেই অনশন চলেছিল পঁচিশ দিন৷ এবার ৩ ফেব্রুয়ারি৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে ‘সংবিধান বাঁচাতে’ ফের কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের

‘সংবিধান বাঁচাতে’ মমতার ধর্নায় সমর্থন জানালেন মহাজোটের নেতারা

কলকাতা: সালটা ছিল ২০০৬৷ ৪ঠা ডিসেম্বর৷ সিঙ্গুরে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে বিশাল মঞ্চ বেঁধে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছিলেন৷ সেই অনশন চলেছিল পঁচিশ দিন৷ এবার ৩ ফেব্রুয়ারি৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে ‘সংবিধান বাঁচাতে’ ফের কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের পাশে বসিয়ে তৃণমূলের ব্যানারে ফের মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবার রাজীব কুমারের বাঙলোয় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘আমি এর বিহিত চাই৷ আমি সংবিধান বাঁচাতে এই ধর্নায় বসব৷’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই মমতার পাশে এসে দাঁড়ান মহাজোটের নেতারা৷ গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমর আবদুল্লা৷ এদিন সন্ধ্যায় টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দেন৷ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু টুইটারে লেখেন, ‘‘এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে নেমেছেন৷ আমরা তাঁর পাশে আছি৷’’

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া টুইটা করে বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনারকে গ্রেপ্তার করতে সিবিআই হানা বাংলায়! এই মুহূর্তে ওখানে যা হচ্ছে, তাতে হতবাক আমি৷ জরুরি অবস্থার সময় এরকম অসাংবিধানিক আচরণ ঘটত৷ এখন বাংলায় সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷’’

মমতাকে সমর্থন করে টুইট করলেন অখিলেশ যাদব৷ লেখেন, ‘‘দেশে উৎপীড়ন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার৷ সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে৷ দেশের সংবিধান ও মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে বসেছে৷ এই নিপীড়ণ‌ের বিরুদ্ধে যে ভাবে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমার৷’’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ লেখেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করছেন মোদীজি৷ কয়েক বছর আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে দিল্লির অপরাধ দমন শাখাকে আটক করিয়েছিলেন৷ আজ আবার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ মোদী-শাহ জুটি ভারতের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি৷’’

কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে আচমকা সিবিআই হানার তীব্র বিরোধিতা তৃণমূল নেতৃত্বের৷ রবিবার সন্ধেয় রাজীব কুমারের বাড়িতে যায় সিবিআই৷ শেক্সপিয়র সরণি ও পার্কস্ট্রিট থানাতেও যায় তারা৷ এরপরেই টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তাঁর অভিযোগ, নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে সাংবিধানিক আক্রমণ করা হচ্ছে৷ টুইট বার্তায় ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, সোমবারই সংসদে তৃণমূল সাংসদরা মোদি হঠানোর দাবি তুলবেন৷ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাছে গণতন্ত্রকে রক্ষায় আবেদন জানাবেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =