নয়াদিল্লি ও কলকাতা: লাখ কসরত করেও কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের ছাড়পত্র পেল না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবারের সুপ্রিম রায়ের গেরোয় সিবিআই এখন নতুন গুটি সাজাতে ব্যস্ত। চেয়েছিল দিল্লির লোধী রোডের দপ্তরে নিয়ে গিয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করা হবে,কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙভি তাতে সায় দেননি, কলকাতা মমতার খাস তালুক এখানে পুলিশ কমিশনারকে বাগে আনতে পারবেন না দুঁদে গোয়েন্দারা তাই তৃতীয় জায়গার সন্ধান। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে শিলঙের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন৷
তাপসী মালিক, নন্দীগ্রাম গণহত্যা, রবিঠাকুরের নোবেল চুরি, সিবিআই কিছু করেছে। মোদিবাবু আর অমিতভাইয়ের কাছ ছেড়ে একবার নোবেলটা উদ্ধার করে দিন। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।বেশকিছু ভাউচারে সই করিয়ে নেন তিনি। সিবিআই কেন তাঁর প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে, বিজেপির মন্ত্রী বলে তাঁর সাতখুন মাফ, সুপ্রিম রায়ের পর ধরনা মঞ্চ থেকে এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পালটা টুইটে হিমন্ত বিশ্বশর্মা মমতাকে বলেছেন,আমি আপনার সিপির মতো ভাগ্যবান নই।
এদিকে মামলার রায় বেরোতে না বেরোতেই মমতা ও বিজেপির মধ্যে জোর তরজা শুরু হয়েছে। আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের দাবি, রাজীব কুমার প্রসঙ্গে সুপ্রিম রায় আসলে সিবিআইয়ের বিজয়কে সুনিশ্চিত করে। পালটা দাবি মমতার, জোর করে রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে চালনা করছে কেন্দ্র। কিন্তু সুপ্রিম রায়ে সেই ইচ্ছের পথে সরকারি বাধা পড়েছে। এজন্য শীর্ষ আদালতকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। রবিশংকর প্রসাদের দাবি সারদা মামলা প্রসঙ্গে রাজীব কুমারকে হাজিরা দিতে হবে তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে, এটি আসলে সিবিআইয়ের জয়। যখনই তদন্তকারীরা সিপিকে ডাকবেন তখনই যেতে হবে। এতে অন্যরা নিজেদের জয়দেখলেও প্রাপক কিন্তু সিবিআই।বলাবাহুল্য, নৈতিক জয় কার ঝুলিতে গেল সেনিয়েও চলছে কাড়াকাড়ি, দ্বৈরথ।