চিটফান্ড বিরোধী কেন্দ্রের নয়া বিল, বিপাকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী-সাংসদ ও বহু প্রভাবশালী

নয়াদিল্লি: চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত নয়া বিলের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, চিটফান্ড বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রনয়ণের জন্য মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম সংশোধন বিল ২০১৮’ সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ ও পাশ করানো হবে৷ তবে, এই বিল কার্যকর হলে আগামী দিনে বেশ

চিটফান্ড বিরোধী কেন্দ্রের নয়া বিল, বিপাকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী-সাংসদ ও বহু প্রভাবশালী

নয়াদিল্লি: চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত নয়া বিলের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, চিটফান্ড বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রনয়ণের জন্য মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম সংশোধন বিল ২০১৮’ সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ ও পাশ করানো হবে৷ তবে, এই বিল কার্যকর হলে আগামী দিনে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খুলে যাবে বলেই আশঙ্কা পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷

কী রয়েছে ওই বিলে? কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন অর্থলগ্নি সংস্থা যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা জমা নেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ করা হবে এফআইআর৷ একই সঙ্গে ওই সংস্থার সেলিব্রিটি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডরকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ সংস্থার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতদারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও বিলের জানানো হয়েছে৷ দেশে বহু ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছে যাঁরা সরকারের নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করছেন, তাদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ তবে, অনুমোদনহীন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷

রাজধানীতে সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ২০১৪ সালে সরকার চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরেও গত তিন বছরে বেআইনি ১৬৬ অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিবিআই। এর মধ্যে বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়৷

কেন্দ্রের তরফে নয়া বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চিন্তায় ঘুম উড়তে চলেছে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও প্রভাবশালীর৷ কেননা, বাংলার একাধিক চিটফান্ডের বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এজেন্টদের প্রভাবিত করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ ফলে, এক্ষেত্রে সেলিব্রিটি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডরকেও গ্রেপ্তারের সুপারিশ কার্যকর হলে বিপাকে পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে আমলা, সাংসদ ও টলি তারকরা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী নেতারাও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 17 =