আদালতের নির্দেশে বাড়ি ফিরলেন কনকদুর্গা

মালাপ্পুরম: প্রচলিত রীতি ভেঙে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের “অপরাধে” শাশুড়ির হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন কনকদুর্গা। অবশেষে লোকাল কোর্টের অর্ডারকে অস্ত্র করে স্বামীর বাড়িতে ফিরলেন তিনি। প্রচলিত ধর্মীয় রীতি লঙ্ঘন করে ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশ করার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ঠাঁই হয়নি নিজের ভাইয়ের বাড়িতেও। জেলাশাসকের দফতরে অভিযোগ জানানোর পর অবশেষে উত্তর কেরলের

8dc91451446c2fca86c99b804856ad10

আদালতের নির্দেশে বাড়ি ফিরলেন কনকদুর্গা

মালাপ্পুরম: প্রচলিত রীতি ভেঙে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের “অপরাধে” শাশুড়ির হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন কনকদুর্গা। অবশেষে লোকাল কোর্টের অর্ডারকে অস্ত্র করে স্বামীর বাড়িতে ফিরলেন তিনি। প্রচলিত ধর্মীয় রীতি লঙ্ঘন করে ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশ করার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ঠাঁই হয়নি নিজের ভাইয়ের বাড়িতেও।

জেলাশাসকের দফতরে অভিযোগ জানানোর পর অবশেষে উত্তর কেরলের মালাপ্পুরমে স্বামীর বাড়িতে ফিরলেন কনকদুর্গা। লোকাল কোর্টের অর্ডার নিয়ে মঙ্গলবার রাতে অঙ্গদীপ্পুরমে ফিরে কনকদুর্গা অবশ্য দেখেন বাড়ি ফাঁকা। সূত্রের খবর, তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্বামী একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের চার মাস পর ৫০এর নিচে বিন্দু আম্মিনি এবং কনকদুর্গা কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে পুজো দেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাঁদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও মেনে নেননি কনকদুর্গার নিজের পরিবারই। শাশুড়ির কাছে নিগৃহীত হন তিনি। বন্ধ হয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির দরজা। এরপর জেলাশাসকের কাছে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলামন্থল গ্রাম নিয়ালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে কনকদুর্গার। এব্যাপারে কনকদুর্গার প্রতিক্রিয়া, “আমি কোর্টের অর্ডার পেয়েছি এবং বাড়িতে ঢুকতে পেরেছি। আমি খুশি। সন্তানদের সঙ্গে দেখা হয়নি কিন্তু আশা করি পরে ওদের সঙ্গে দেখা হবে। শ্বশুরবাড়িতে থাকতে আমার কোনও অসুবিধা নেই, তাঁরা এখনও আমার সঙ্গে থাকতে প্রস্তুত নন। তবে, সব ঠিক হয়ে যাবে।” অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা। এদিন সেই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে কেরল সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *