নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর দফতর রাফাল দরদামে আলাদাভাবে নাক গলিয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে এই নিয়ে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে কেন্দ্র। ‘দ্য হিন্দু’ সূত্রে খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উপেক্ষা করেই আলাদা ভাবে দর কষাকষি করেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি লিখে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরকে বিষয়টি জানানো হয়।
সেখানে জানানো হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষ দল রাফাল নিয়ে দরকষাকষি চালাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) ‘প্যারালাল নেগোসিয়েশন’ চালাচ্ছে। এর ফল প্রতিপক্ষই অর্থাৎ ফ্রান্স বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ভারতেরই। কেননা, যেই বিশেষ দল এই দায়িত্ব রয়েছে তারাই বিষয়টি ভাল বুঝবেন। কিন্তু, দুই ধরেন দরদামের ফলে অবস্থানগত ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে ভারত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই চিঠিতে এই পিএমও’কে বিতর্কিত ভূমিকা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতে তৈরি করেছিলেন এস কে শর্মা (ডেপুটি সেক্রেটারি, এয়ার ২)।
অনুমোদন করেছিলেন মন্ত্রকের ‘জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ম্যানেজার’ ও ডিরেক্টর জেনারেল(অ্যাকুইজিশন)। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই চিঠিতে, নিজের হাতে নোট লিখে পিএমওকে বিরত থাকতে বলেছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কুমার। হিন্দু সুত্রে আরও জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টেও কেন্দ্র রাফালের দরদাম সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিল, সেখানে কিন্তু পিএমও’র ভূমিকার কথা কিছুই জানানো হয়নি। স্বভাবতই এই নতুন খবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি বলেন, মোদী ভীতু। সৎ সাহস থাকলে প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে পাঁচ মিনিটের জন্য কথা বলতে আসুন। সাহস থাকলে আমার সঙ্গে বিতর্কে মুখোমুখি হন। আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনি বলেছেন আপনার ৫৬ ইঞ্চির ছাতি আছে তাহলে আলোচনায় আসুন।