লখনউ: মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। এমনটাই প্রশস্তি শোনা গেল খোদ যোগীর রাজ্যের মন্ত্রীর মুখে। মন্তব্যটি করেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ও বিজেপির জোট শরিক সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির (এসবিএসপি) নেতা ওমপ্রকাশ রাজভর। বলা বাহুল্য, এর ফলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির চাপ আরও বাড়াল।
এমনিতেই অখিলেশ-মায়াবতীর জোট কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। এবার সেই শিবিরে যোগ দেওয়ার হুমকি দিলেল এসবিএসপির এই নেতা। প্রধানমন্ত্রীত্বেক প্রসঙ্গে বলেন, সকলেই প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য যোগ্য। তবে মমতাজি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেরা দাবিদারি। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির সুবিধার্থ ‘সোশাল জাস্টিস কমিটি’ গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল দলটি। রবিবার আরও একধাপ এগিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
দলের সাধারণ সম্পাদক অরুন রাজভর জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি নিয়ে গড়িমসি করছে বিজেপি। লোকসভার ভোটের ৬ মাস আগেই এই কমিটি কথা ছিল। কিন্তু এখনও সেটা কার্যকরী হয়নি। তাই এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় হয়েছে। অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কিছুই করেনি সরকার। ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে, লোকসভায় সব আসনে আলাদা প্রার্থী দেবে তাঁর দল। এমনকি প্রয়োজনে, এসপি-বিএসপি জোটকেও সমর্থন জানানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, পিসী-ভাইপো জোট যে বেকায়দায় ফেলতে পারে বিজেপিকে, এই আশঙ্কা করছেন দলের মধ্যে অনেকেই। বিশেষ করে যোগীর জনপ্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে দলিতরাই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ফলে সেদিক দিকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে সাইকেল-হাতির জোট। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।