নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আগামী বুধবার বিজেপি-বিরোধী নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বিরাট জনসভার আয়োজন করেছে আম আদমি পার্টি। সেই সভাতে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাজধানীতে যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লিতে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূলের এক নেতা জানান, এখনও পর্যন্ত যা সূচী, তাতে ১২ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি আপ-এর ডাকা সভায় উপস্থিত থাকবেন তিনি। এছাড়া, অন্যান্য বহু বিরোধী নেতার সঙ্গেও দিল্লি গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন নেত্রী৷
১৩ ফেব্রুয়ারি আপ-এর যে জনসভাটি হওয়ার কথা দিল্লির যন্তরমন্তরে, তার শ্লোগান- ‘‘তানাসাহি হঠাও, দেশ বাঁচাও’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে ডাকা জনসভায় ১৯ জানুয়ারি যে যে বিরোধী নেতা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরাও উপস্থিত থাকবেন কেজরিওয়ালের ডাকা এই সমাবেশে৷ যদিও, কংগ্রেস আপ-এর ডাকা সভায় উপস্থিত যে থাকবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে৷
রাজ্যের জন্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে দিল্লিতে অনশনে বসলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁকে সমর্থন জানান তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধার দাবিতে অনশনে বসলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। শুধু তা-ই নয়, ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ভাগ হয়ে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা হওয়ার পর অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র, তাও তাদের রাখতে হবে। এমনটাই দাবি চন্দ্রবাবুর। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার পর অন্ধ্রপ্রদেশে তার আগে পর্যন্ত ব্যবসার যে বিশাল ক্ষেত্রটি ছিল, তা তেলেঙ্গানায় স্থানান্তরিত হয়ে যায়। যার ফলে আর্থিকভাবেও বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ৷