নয়াদিল্লি: লক্ষ্য প্রতি ঘণ্টায় গতি বৃদ্ধি। আর তা মাথায় রেখেই এবার প্যাসেঞ্জার ট্রেনের জায়গা নিচ্ছে ‘মেমু’ (মেন লাইন মাল্টিপল ইউনিটস) এবং ‘ডেমু’ (ডিজেল ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) ট্রেন। আজ লোকসভায় এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এদিন তিনি বলেছেন, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকেই এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সারা দেশের মোট ৮৬ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে মেমু অথবা ডেমুতে বদলে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বেড়েছে গতিবেগ।
ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সবকটি দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রতি বছর জোনগুলির অধীনে থাকা ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ন্যূনতম পাঁচ কিলোমিটার করে বৃদ্ধির জন্য সমস্ত জোনাল ম্যানেজারকে চিঠিও পাঠিয়েছে রেলবোর্ড। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বদলি হিসেবে মেমু এবং ডেমু ট্রেন চালানোও মূলত ঘণ্টায় এই গতিবেগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই।