নয়াদিল্লি: দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে সংঘাত প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল আম আদমি পার্টির সরকার। আদালত জানিয়ে দিল দিল্লির দুর্নীতি দমন শাখা নিয়ন্ত্রণের অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের৷ দিল্লি সরকারের নয়। তবে দুই আমলার বদলি নিয়ে বিচারপতিদের মধ্যে মত বিরোধ হয়েছে৷ বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে৷
এদিন বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ নভেম্বরে এই মামলার শুনানি শুরু করেন৷ আপের দাবি, মানুষের ভোটে জিতে এলেও তাদের কাজের সুযোগ খুবই কম। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিল্লি পরিচালনের জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতার দাবি করে আসছে সরকার৷ এর আগে জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দিল্লি অন্য রাজ্যের মতো ক্ষমতা দাবি করতে পারে না ঠিকই কিন্তু লেফটেন্যান্ট গভর্নর একা প্রশাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না৷ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লি মন্ত্রিসভার সঙ্গে একমত নাই হতে পারেন কিন্তু সেই বিরোধিতা করার নেপথ্যে কারণ থাকতে হবে৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় ২০১৬ সালের দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের থেকে একেবারে আলাদা ছিল। ২০১৬ সালের হাইকোর্ট বলেছিল দিল্লি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। দিল্লি পরিচালন কেন্দ্রের অধিকারের মধ্যে পড়ে, রাজ্যের নয়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও সেটা নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তি থেকে যায় বলে দাবি করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় বিভিন্ন পক্ষ।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দিল্লি সরকারের গোলমাল দেখা দেয় আধিকারিকদের বদলি করা নিয়ে। আজ রায়ের পর নিজেদেরর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখার ব্যাপারে আশাবাদী আপ। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিল আপ৷ এবার সেটা করতে পারবে তারা। দু’পক্ষের এই সংঘাত মাঝে বড় আকার ধারন করে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন কেজরিওয়াল৷ এখন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনীল বৈজল। তাঁর আগে দায়িত্বে ছিলেন নাজীব জং। সেই তখন থেকে সংঘাতের শুরু।