শ্রীনগর: জ্বলছে ভূস্বর্স৷ সদা বরফের লেগেছে তাজা রক্তের দাগ৷ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ৷ তৈরি যুদ্ধের পরিবেশ৷ এরই মাঝে গোয়েন্দা ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগ তুলে পদ খোয়াতে চলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ সূত্রের খবর, দ্রুত তাঁকে সরিয়ে কেন্দ্রের আস্থাভাজন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷ তবে, কে এই পদে আসতে চলছে তা এখনও জানা যায়নি৷ বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন সত্যপাল মালিক৷ এরপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যদিকে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভূস্বর্গে৷ হিংসার আশঙ্কায় জম্মু শহরে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন৷ পুলওয়ামায় সিআরপি জওয়ানদের হত্যার পর শুক্রবার জম্মুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ তেরঙা পতাকা নিয়ে বজরং দল, শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকজন গুজ্জর কলোনির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সংঘর্ষ বাঁধে৷
বিক্ষোভকারিদের অভিযোগ, তারা আক্রান্ত। স্থানীয়দের বক্তব্য, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সংঘর্ষ বাঁধানো হয়েছে। বেশকিছু গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। দুপক্ষের মধ্যে ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে যায়। পুলিশকে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হয়। ছুঁড়তে হয় কাঁদানে গ্যাস। প্রশাসনকে সাহায্য করতে ডাকা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। তারা সেখানে ফ্ল্যাগমার্চ করে। এদিন কাশ্মীর জুড়ে সেনাবাহিনীর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল পরিষেবা৷
বৃহস্পতিবার বিকালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ‘ব্যর্থতা’কেই দায়ী করেন রাজ্যপাল৷ নিরাপত্তার নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি কনভয়ের মধ্যে ঢুকল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল৷ এই নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর৷
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এত বড় জঙ্গী হামলা এর আগে ঘটেনি জম্মু-কাশ্মীরে৷ গতকালের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭ জন সিআরপিএফ জওয়ান, জখম হয়েছেন আরও অনেকে৷