আজ বিকেল: সকাল সকাল শপিংমলে ঘুরতে এসে বাঘবাবাজির দর্শন পেলে যতটা না আনন্দিত হবেন, তার থেকে অনেক বেশি আতঙ্কিত হবেন তা বলাই বাহুল্য। তবে আকাশকুসুম কল্পনা ভেবে স্ক্রল করে যাবেন না। সত্যি সত্যিই জঙ্গল ছেড়ে শপিংমলে ঘুরে গেল চিতা, মলের পরিবেশ বুঝতে খানিক ঘোরাঘুরির পর সোজা শহরের পাঁচতারা হোটেল। আহা টেস্ট বলতে হবে চিতার। শুধু তো কেনাকাটা করলেই হয় না, আরাম আয়েশেরও তো দরকার আছে। তাই তো পাঁচতারা হোটেলে ঢুকে পড়া, কিন্তু তাতে আর স্বস্তি কোথায়। ওই যে সাহিত্যিক কবে বলে গিয়েছেন,বন্যেরা বনে সুন্দর তাই তাকেও ফিরতে হল ন্যাশনাল পার্কে। শহরে ঘোরাঘুরিটা এবার হোটেল পর্যন্ত এসেই থমকে গেল। এদিন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানের কোরাম শপিং মলে।
প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয়রাই প্রথম চিতাটিকে দেখতে পান। তখন ঘেরাটোপের বাইরে বেরোতে পেরে বাঘবাবাজি লনে পায়চারি করতে শুরু করেছে। শপিংমল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে চিতাকে ধরতে আসরে নেমে পড়ে বনদপ্তরের কর্মীরা। এদিকে মলের পর পাঁচতারা হোটেল দেখার সাধ হয়েছে চিতার। পাঁচিল টপকে প্রথমে বেসমেন্ট পরে ব্যালকনিতে। এদিকে চিতার আগমনে গোটা এলাকাজুড়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে চিতার ঘোরাঘুরির দৃশ্য।
ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে শেষপর্যন্ত চিতাটিকে বশ করা হয়। জানা গিয়েছে, পাশেই সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক। সেখানে দিনদিন চিতার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই নাশনাল পার্কের একদিকে থানে ও অন্যদিকে বোরিভেলির মতো ব্যস্ত এলাকা। প্রায়ই পার্ক ছেড়ে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে চিতা, দুএকজন প্রত্যক্ষদর্শী আহতও হয়। কিন্ত চিতার এভাবে শপিংমল দর্শন অবাক করে দিয়েছে স্থানীয়দের, কেননা এই প্রথম লোকালয়ে এসেও কাউকেই আক্রমণ করেনি বাঘবাবাজি। গোটা বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে ঘটায় সবাই বেশ খুশিই হয়েছে।