ক্ষিপ্ত জনতা, জ্বলল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি! জনতাকে বাগে আনতে ব্যর্থ পুলিশ

ইটানগর: অশান্ত অরুণাচল৷ বনধ ঘিরে ধুন্ধুমার ইটানগর৷ কার্ফু উপেক্ষা করে জনতার বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভে জ্বলল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি৷ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর৷ বনমন্ত্রীর বাড়িতে তাণ্ডব৷ আগুনে একাধিক গাড়িতে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্ষিপ্ত জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি৷ পাল্টা পাথরের আঘাতে মৃত পুলিশ আধিকারিক৷ শূন্যগুলি, কাদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা ব্যর্থ পুলিশ৷ ক্ষুব্ধ জনতার মিলিত প্রতিবাদে উত্তাল

ক্ষিপ্ত জনতা, জ্বলল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি! জনতাকে বাগে আনতে ব্যর্থ পুলিশ

ইটানগর: অশান্ত অরুণাচল৷ বনধ ঘিরে ধুন্ধুমার ইটানগর৷ কার্ফু উপেক্ষা করে জনতার বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভে জ্বলল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি৷ উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুর৷ বনমন্ত্রীর বাড়িতে তাণ্ডব৷ আগুনে একাধিক গাড়িতে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্ষিপ্ত জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি৷ পাল্টা পাথরের আঘাতে মৃত পুলিশ আধিকারিক৷ শূন্যগুলি, কাদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা ব্যর্থ পুলিশ৷ ক্ষুব্ধ জনতার মিলিত প্রতিবাদে উত্তাল শান্ত অরুণাচল৷

কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? অ-অরুণাচলী ছয় সম্প্রদায়কে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট বা স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে সরকার নিযুক্ত প্যানেলের সুপারিশের বিরোধিতায় তুমুল অশান্তি ছড়িয়েছে অরুণাচলে৷ তার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ে ঢুকতে যাওয়ায় পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামাতে হয়েছে। নাহারলাগুন থেকে ইটানগর পর্যন্ত ফ্ল্যাগ মার্চ করেছে সেনা। রাজধানী শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অরুণাচলবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন শান্ত থাকতে। পরিস্থিতি নিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর৷

ঘটনাচক্রে এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন হয়েছিল ইটানগরে। এই বিক্ষোভের জেরে একাধিক বলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক কার্যত আটকে পড়েছেন ইটানগরে। যেমন-সতীশ কৌশিক। তা ছাড়াও রয়েছেন পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র সমালোচক উৎপল বরপুজারি। প্রত্যেকেই নিজেদের হোটেলের ঘরে গত অনেক ঘণ্টা ধরে বন্দি হয়ে রয়েছেন। অশান্তি এতটাই তীব্র হয় যে প্রতিবাদীরা ৫০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ১০০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। অল অরুণাচল প্রদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আপসু) এবং অল নাইশি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের দপ্তর পোড়ানো হয়। কারণ তারা সরকারি প্যানেলের সুপারিশকে সমর্থন করেছিল। বহু সংগঠন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্‌ধ ডাকে। উল্লেখ্য যে ছ’টি সম্প্রদায়কে পিআরসি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল, সেগুলি হল দেওরি, সোনোওয়াল কাছারি, মোরান, আদিবাসী, মিশিং এবং গোর্খা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 1 =