আজ বিকেল: আদৌ কি জঙ্গি নিধনের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক টু সংঘটিত হয়েছিল? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বক্তব্যের পরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর অমিত শাহ জানান ২৫০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এই বক্তব্যের পরেপরেই এক বিবৃতিতে বায়ুসেনা প্রধান জানান টার্গেট পূরণ করাই সেনার কাজ, কজনের মৃত্যু হল তার সংখ্যা নির্ধারণ করা নয়। এখানেই শেষ নয় অমিত শাহের বক্তব্যের সঙ্গে আলুওয়ালিয়ার বক্তব্যের কোনও মিল নেই। সাম্প্রতিক এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে বিজেপির নেতারা বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন, যা সন্দেহের উদ্রেক করে বইকি।
সেনাকে নিয়েও রাজনীতি করছে বিজেপি, এই প্রসঙ্গে এক টুইটে আক্রমণ শানালেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি জানান, ২৫০ জন জঙ্গি মৃত্যুর হিসেব দিচ্ছেন অমিত শাহ,বায়ুসেনা প্রধান বিষয়টি এড়াচ্ছেন।তাহলে কি অমিত শাহের কাছে গোপন তথ্য চলে যাচ্ছে? যার অর্থ দাঁড়ায় জাতীয় নিরাপত্তা ভাঙছেন বিজেপি সভাপতি। রাজনীতির স্বার্থে বায়ুসেনাকে অপমান করছে বিজেপি এমনটাই দাবি করেছেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
সব মিলিয়ে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানা ও পরবর্তী পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে জঙ্গি নিধন নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। জঙ্গি নিধন নিয়ে বিজেপির নেতাদের দেওয়া তথ্য বড়মাপের মতপার্থক্য তৈরি করে দিচ্ছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমও বায়ুসেনার কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এয়ার স্ট্রাইকে আদৌ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে কিনা তানিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এরপরই জঙ্গি মৃত্যুর প্রমাণ চেয়েছে কংগ্রেস। নভজ্যোৎ সিং সিধুর বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। মুখ বন্ধ করতে সাতাড়াতাড়ি মোদির সাফাই, সেনা যা বলছে তা বিশ্বাস মানতে হবে। কেউ কেউ মানতে না চাইলেও পরিস্থিতি কোনওমতেই বদলাবে না। যদিও ভোটযুদ্ধে জয়লাভ করতে নকল যুদ্ধের খেলা খেলছে মোদি, এমন অভিযোগ উঠে গিয়েছে।