নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি শেষ না হলে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করবে না৷ টুইট করে এমনই গুরতর অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ প্যাটেল৷ সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক ম্যানেজারের এই ট্যুইট ঘিরে জাতীয় রাজনৈতিক তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ কিন্তু, কেন এই বিতর্ক?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা, গত লোকসভা নির্বাচনে ৫ মার্চ নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছিল কমিশন৷ কিন্তু, এবার পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি অনকেটাই বদলে গিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে মার্চের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও এখনও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারেনি কমিশন৷ কিন্তু, এই বিলম্ব হওয়ার পিছনেও রয়েছে একাধিক যুক্তি৷ রয়েছে একাধিক প্রশ্ন৷
Is the Election Commission waiting for the Prime Minister’s “official” travel programs to conclude before announcing dates for General Elections?
— Ahmed Patel (@ahmedpatel) March 4, 2019
বিরোধীদের প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের কথা ভেবে আগামী দু’তিন দিনে গুচ্ছ উদ্বোধন কর্মসূচি রয়েছে মোদির৷ আজ, কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করতে উত্তরপ্রদেশে হাজির হয়েছেন তিনি৷ বারাণসী, কানপুরের পর গাজিয়াবাদে সভা ও বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রকল্পের পর ২০১৯ জাতীয় মহিলা জীবিকা সম্মেলনে যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের শিলান্যাসও রয়েছে৷ ফলে, এখনই ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এই কর্মসূচি আর করতে পারবেন না মোদি৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মোদিকে সুযোগ দিতেই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশে দেরি করছে কমিশন৷
অন্যদিকে, সীমান্তে ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে বাহিনী পেতে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছে কমিশন৷ হামলা আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত সীমান্তে জারি হয়েছে অ্যালার্ট৷ সীমান্তজুড়ে সর্বত্র নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ফলে, এই পরিস্থিতিতে ভোটের কাজে বাহিনী কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে পর্যবেক্ষণ৷ ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য কত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন? কোথায় কত আধা সেনা মোতায়েন করা হবে? কোন জেলায় কত বাহিনী প্রয়োজন তা জানতে রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন৷ অবিলম্বে সমস্ত তথ্য জানিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে, সব মিলিটিয়ে জারি চূড়ান্ত জটিলতা৷