দীর্ঘ লড়াই স্বীকৃতি, দিল্লিতে সম্মানিত বাংলার রূপান্তরকামী জয়িতা

নয়াদিল্লি: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য লড়াই করার স্বীকৃতি হিসাবে দিল্লিতে সন্মানিত হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের জয়িতা মণ্ডল। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য লড়াই করে চলেছেন। শুক্রবার বিকালে তিনি দিল্লিতে সন্মানিত হলেন। সেখানে ন্যাশনাল উইমেন কমিশনের তরফ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। দিল্লিতে জয়িতা মন্ডলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দিল্লির

দীর্ঘ লড়াই স্বীকৃতি, দিল্লিতে সম্মানিত বাংলার রূপান্তরকামী জয়িতা

নয়াদিল্লি: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য লড়াই করার স্বীকৃতি হিসাবে দিল্লিতে সন্মানিত হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের জয়িতা মণ্ডল। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য লড়াই করে চলেছেন। শুক্রবার বিকালে তিনি দিল্লিতে সন্মানিত হলেন। সেখানে ন্যাশনাল উইমেন কমিশনের তরফ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। দিল্লিতে জয়িতা মন্ডলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি থেকে ফোনে জানালেন, তাঁর রূপান্তরকামী হয়ে ওঠার গল্প। কিভাবে তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে সমাজের কাছে বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পড়ে থাকতে হয়েছে রাস্তায়। রাত কাটাতে হয়েছে খোলা আকাশের নীচে। পৃত্তিদত্ত নাম জয়ন্ত থেকে জয়িতা হয়েছেন তিনি। কাটিয়েছেন দীর্ঘ যন্ত্রনার জ্বালা। জয়িতা বলেন, “ দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে একজন পূর্ন নারীরূপে স্বীকৃতি ও সন্মান পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।”

দীর্ঘ লড়াই স্বীকৃতি, দিল্লিতে সম্মানিত বাংলার রূপান্তরকামী জয়িতাগত বছর ইসলামপুর লোক আদালতে দেশের প্রথম রুপান্তরকামী বিচারক হিসাবে যুক্ত হন। ইতিমধ্যে জয়িতাকে নিয়ে দিল্লিতে তৈরি হয়েছে একটি তথ্যচিত্র। তথ্যচিত্রের নাম ‘আই অ্য্ম জয়িতা’। কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে সেই তথ্যচিত্র। বর্তমানে ইসলামপুরের বাসিন্দা জয়িতার মূল বাড়ি কলকাতায়। জন্মের পরে বাবা মা তাঁর নাম রাখেন জয়ন্ত। আচার আচরনের কারনে বাড়ি থেকে সর্বত্র কটুক্তি, গঞ্জনা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। জন্মগত লিঙ্গ পরিচয়ের গন্ডি থেকে বেরিয়ে নিজের প্রকৃত সত্তা প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে হঠাৎই ইসলামপুরে এসে খুব কষ্ট করে কাটিয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসাবে অনুষ্ঠানেও গিয়েছেন। সেই সময় সিধান্ত নেন বৃহন্নলার অধিকার নিয়ে লড়াই করবেন। পাশাপাশি দূর শিক্ষার মাধ্যমে

পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে সন্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত জয়িতা বলেন, “ এই সন্মান পেয়ে আমি সত্যি অভিভূত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 6 =