কারণবারি সেবন করে বর এলেন বিয়ে করতে, কী হল তারপর?

বিহার: মদ্যপ অবস্থায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে বর, বুঝতে পেরেই বিয়ে ভেঙে দিলেন বছর ২০-র কনে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছাপরা জেলার তরৈয়া থানার ডুমরি ছাপিয়া গ্রামে। শুধুই বর একা নয় সঙ্গে আসা বরযাত্রীদের প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলে বলে অভিযোগ। কনের বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁদের থামাতে গেলে উলটো ফল ঘটে, মদ্যপ বরযাত্রীরা অসংলগ্ন অবস্থাতেই

92689e8af65564f6cbd358d4b3d67e45

কারণবারি সেবন করে বর এলেন বিয়ে করতে, কী হল তারপর?

বিহার: মদ্যপ অবস্থায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে বর, বুঝতে পেরেই বিয়ে ভেঙে দিলেন বছর ২০-র কনে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছাপরা জেলার তরৈয়া থানার ডুমরি ছাপিয়া গ্রামে। শুধুই বর একা নয় সঙ্গে আসা বরযাত্রীদের প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলে বলে অভিযোগ। কনের বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁদের থামাতে গেলে উলটো ফল ঘটে, মদ্যপ বরযাত্রীরা অসংলগ্ন অবস্থাতেই কনের বাড়ির সদস্যদের উপরে চড়াও হয়, এলোপাথাড়ি মারতে থাকে বলে অভিযোগ। বরের বাড়ির লোকজন মাতলামি করছে বলে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করেই বিষয়টি হজম করছিলেন কনের আত্মীয়রা। আচমকাই পঁড়ি থেকে উঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন কনে রিংকী কুমারী। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরব হন অন্যান্যরা।

জানা গিয়েছে, বেশকিছু দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা শীবপূজ শাহের বড় ছেলে বাবলু কুমারের সঙ্গে রিংকীর বিয়ের কথা পাকা করেন তাঁর বাবা। সম্বন্ধের বিয়েতে অনেক পণ ও যৌতুক দেওয়ার রীতি রয়েছে বিহারে। রিংকীর অভিভাবকরাও সেসবরে বন্দোবস্ত করেন, বিয়ের দিন যথারীতি পাত্রকে নিয়ে বরপক্ষে কনের বাড়িতে পৌঁছে যায়। বর গাড়ি থেকে নামতেই সকলের কেমন সন্দেহ হয়, বাবলু কুমারের পা টলছে এমন রবও ওঠে। তবে কনে কর্তা তাতে আমল দেননি। বরকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে অন্যান্য বরযাত্রীরাও বিয়েবাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন, তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে কনের বাড়ির সদস্যরা উপস্থিত হন, সেখানেই বোঝা যায় সুন্দর অনুষ্ঠানটির তাল কাটতে চলেছে। বরযাত্রীদের বেশিরভাগই টলোমলো পায়ে এগিয়ে আসছেন, অসংলগ্ন আচরণও করছেন। এই ঘটনায় মেয়ের বাড়ির লোকজন প্রতিবাদ করতেই তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। কোনওরকমে হাতাহাতি আটকানো হয়। এদিকে বর ও সঙ্গে লোকজনের ব্যবহারের খবর পেয়েই বেঁকে বসেছেন রিংকী, তিনি কিছুতেই একটা মাতালকে বিয়ে করবেন না। দৃঢ়তার সঙ্গে একথা জানাতেই কনের বাড়ির লোকজন মদ্যপ যুবকদের আটকে দেন। যৌতুকের জিনিসপত্র ও টাকাকড়ি ফিরিয়ে কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিবস্ত্র করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিহার সরকার মদ নিষিদ্ধ করেছে তাও প্রায় তিনবছর হতে চলল। তবে এরমধ্যে বহুবার লুকিয়ে মদ নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। সেই বিহারেই কিনা বিয়ে করতে বড় এল মাতাল হয়ে। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে আইনের মাঝে ফাঁকফোকরের আকার কতটা বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *