শ্রীনগর: কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তৎপর সেনা, ত্রালে সেনা জঙ্গি সংঘর্ষের পর তিনি জঙ্গি নিকেশ হতেই স্বাস্তির শ্বাস বিএসএফ ছাউনিতে। রবিবার রাত থেকেই উপত্যকার ত্রালে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়। সোমবার দুপুরে সেই লড়াইতেই চালকের আসনে বসে ভারতীয় সেনা। সেনার গুলিতে তিন জঙ্গির ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে, তাদের মদ্যেই রয়েছে পুলওয়ামার নাশকতার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুদাসির খান। এই ঘটনার পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে সেনার লেভটেন্যান্ট জেনারেল, নর্দান কমান্ড রণবীর সিং বলেন, ভারতীয় সেনার বড়সড় সাফল্য এটি।
জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার ঘটনার পর কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছে ভারতীয় সেনা। গত ২১ দিনে ১৮ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, যারমধ্য আটজনই পাকিস্তানি। মূলত কাশ্মীর থেকে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম ও নিশান মিটিয়ে ফেলাই সেনার লক্ষ্য। যতদিন না সেই কাজে সাফল্য আসছে ততদিন অভিযান চলবে।
KJS Dhillon, Corps Commander of Chinar Corps, Indian Army: In last 21 days, we have eliminated 18 terrorists, out of them 14 being from JeM, 6 out of 14 were main commanders. JeM’s 2nd commander Mudasir-main conspirator in national highway convoy attack-has also been eliminated. pic.twitter.com/3naaKhfOo0
— ANI (@ANI) March 11, 2019
তবে এটাই স্বস্তির যে পুলওয়ামা হামলার পর দুজন জইশ মাথাকে মারল ভারতীয় সেনা, হামলার পরেপরেই কামরানকে খতম করা হয় এদিন মুদাসির নিকেশ হল। মূলত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপরে যে নাশকতা হয়েছিল সেই হামলায় এই দুজনই মূল চক্রী ছিল। তবে মুদাসির জইশ জঙ্গি হলেও তার বাড়ি কাশ্মীরের অবন্তীপুরায়। গুলির লড়াইে ছেলের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই সেনার কাছে তার দেহ ফেরানোর আবেদন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
এই প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জানান, চলতি বছরে পাকিস্তান ৪৭৮ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে৷ জঙ্গি হামলা ঘটিয়েছে অজস্র। ৭০-এর বেশি জঙ্গি খতম হয়েছে৷ পুলওয়ামার পরে সেই সংখ্যাটা ১৮৷