মুম্বই: আজ বিদেশপ্রেম বিজেপির সম্পত্তি নয়, আক্রমণাত্মক শিবসেনাকেল: ভোটের আগে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যবহার করে রাজনীতি করছে বিজেপি। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে না হতেই এভাবে জোটসঙ্গী শিবসেনার তোপের মুখে পড়ল বিজেপি। দলের মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে বিজেপিকে একেবারে ধুইয়ে দিয়েছে শিবসেনা।
পুলওয়ামা জঙ্গি নাশকতার ঘটনায় বিজেপির যে দায়বদ্ধতা থেকে যায় তা বিশেষভাবে মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে আমরা সৈনিকদের মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছি। কেউ কেউ সেনাবাহিনীর পোশাক পরে রাজনীতি করছে। শেষে নির্বাচন কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে বলেছে, কেউ যেন জওয়ানদের ছবি নিয়ে প্রচার না করে।পুলওয়ামার ঘটনার পরে প্রকৃত সাহস দেখিয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্নেল সন্তোষ মহাদিকের স্ত্রী স্বাতী মহাদিক এবং মেজর প্রসাদ মহাদিকের স্ত্রী গৌরী মহাদিক। স্বামীদের মৃত্যুর পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কঠোর পরিশ্রম করে প্রশিক্ষণ নেবেন ও সেনাবাহিনীকে সেবা করবেন।তাঁর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।দেশপ্রেম কোনও দলের একচেটিয়া সম্পত্তি নয়। অপর দলকে দেশবিরোধী বলার উদ্দেশ্য একটাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া।
এদিকে কেন্দ্রের সাফাই বালাকোটে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা ফেলে বিপুল সংখ্যক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। বিজেপি নেতারাও মৃতের সংখ্যা নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেন। বিরোধীরা দাবি করেন, জঙ্গিমৃত্যুর প্রমাণ দিতে হবে। অন্যদিকে বিজেপির দিল্লি শাখার প্রধান মনোজ তেওয়ারি সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ভোটের প্রচার করায় আপত্তি ওঠে নানা মহলে। শিবসেনা উভয় পক্ষকেই সমালোচনা করে বলেছে, যাঁরা বিমান হানায় মৃত্যুর প্রমাণ চাইছেন এবং যাঁরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ভোট চাইছেন, উভয় পক্ষই ভুল করছেন। সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ভোট চাওয়া মানে সৈনিকদের অপমান করা। বিমানহানা নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করছে এই অভিযোগ মিথ্যে নয়।