বিশ্বের সবথেকে উঁচু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেবে এই গ্রাম

কাজা: হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলার টশীগঙ এবার সবথেকে উঁচু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। শুধু দেশে নয়, গোটা দুনিয়াতেই। চিন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১০কিলোমিটার। আর উচ্চতা ১৫হাজার ২৫৬ফুট। স্পিতি উপত্যকার সদর কাজা থেকে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দূরত্ব ৩৫কিলোমিটার। ওই এলাকা এখনও কয়েক ফুট বরফের চাদরের তলায়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাও এখনও বরফের কারণে বন্ধ পড়ে

88abf46a9854519bd556963db70cebc0

বিশ্বের সবথেকে উঁচু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রথম ভোট দেবে এই গ্রাম

কাজা: হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতি জেলার টশীগঙ এবার সবথেকে উঁচু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। শুধু দেশে নয়, গোটা দুনিয়াতেই। চিন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১০কিলোমিটার। আর উচ্চতা ১৫হাজার ২৫৬ফুট।

স্পিতি উপত্যকার সদর কাজা থেকে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দূরত্ব ৩৫কিলোমিটার। ওই এলাকা এখনও কয়েক ফুট বরফের চাদরের তলায়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাও এখনও বরফের কারণে বন্ধ পড়ে আছে। শেষ পর্বে অর্থাৎ ১৯ মে ভোট নেওয়া হবে হিমাচলে। অর্থাৎ এখনও দুই মাসের বেশি সময় আছে। উল্লেখ্য, এর আগে সবথেকে উঁচু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রও ছিল এই স্পিতিতেই। হিক্কিম গ্রামের সেই বুথের উচ্চতা ছিল ১৪হাজার ৫৬৭ফুট উচ্চতায়। এবার এই রেকর্ড নথিভুক্ত হয়েছে টশীগঙের নামে। লোকসভা ভোটেই মানুষ প্রথম এখানে ভোট দেবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৬৫০মিটার উচ্চতায় হওয়ার কারণে টশীগঙে অক্সিজেনের অভাব। উচ্চতার কারণে এখানে গাছপালা এমনকি ঘাসও গজায় না। ফলে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।

এই বুথে মোট ভোটদাতা ৪৯জন। ২৯জন পুরুষ এবং ২০জন মহিলা। এদের মধ্যে ৭৮বছরের রিজগিন সবথেকে প্রবীণ এবং ১৯বছরের কলগঞ্জ সবথেকে তরুণ ভোটার। টশীগঙ এবং গেতে গ্রামের ভোটাররা এই বুথে ভোট দেবেন। টশীগঙের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের ১২কিলোমিটার দূরে যেতে হতো। অত্যন্ত দুর্গম এলাকা এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্র দূরে হওয়ার কারণে আগে এখানকার বহু মানুষ ভোট দিতেই যেতেন না। এবার টশীগঙের সকলেই ভোট দেবেন। কাজার কার্যকরী এডিএম জীবন সিং জানিয়েছেন, টশীগঙ বুথে ভোটগ্রহণের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনও এই বুথে কর্মী এবং ইভিএম পাঠানোর জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করছেন। ভোটকর্মীদের একদিন আগে টশীগঙ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বরফ আরেকটু কমলেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা প্রশাসন পরিষ্কার করে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *