কলকাতা: অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা উপকূল হয়ে বাংলায় ফণা তুলতে চলেছে ‘ফনি’। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ফুঁসছে দীঘার সমুদ্র। শুক্রবার ওড়িশায় আঘাত হানার পর শনিবার ভোর বেলা ঘূর্ণিঝড়ের জেরে লন্ডভন্ড হতে পারে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ফনি থেকে সতর্ক থাকতে ইতিমধ্যে মাইকিং শুরু করা হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। বাতিল করা হয়েছে মোট ২১৭ টি ট্রেন। রেল ও রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর৷
রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের হেল্প লাইন।
- হেল্প লাইন নম্বর-১০৭০
- দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের হেল্প লাইন নম্বর-
- খরগপুর স্টেশন হেল্পলাইন নম্বর-
- বিএসএনএল- ০৩২২২-২২১৬৯৬
- বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (রেল)- ৬৩৫৩৫
- প্লার্টফর্ম হেল্পলাইন নম্বর- ৬৩৯৫০
- বিএসএনএল- ০৩২২২-২৫৫৭৫৮
- বালাসোরে রেলওয়ে কন্ট্রোল রুম নম্বর- ৬৪৯০৮ এবং ৬৪৯০৯
- বিএসএনএল-০৬৭৮২-২৬২৭৬
- হাওড়ায় রেলওয়ে কন্ট্রেল রুম নম্বর- ৪৫২৭১
- বিএসএনএল- ০৩৩২৬-৪১২৯৭৫
ফনির প্রভাবে বাতিল হয়েছে হাওড়া থেকে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশগামী বেশ কিছু ট্রেন। বিমান পরিষেবা চালু রাখতে বিশেষ বৈঠক করছে এটিসি-র বিশেষজ্ঞ দল। ফনির প্রভাব থেকে বাদ যায়নি কলকাতা বন্দরও। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জাহাজ চলাফেরায় বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
পণ্যবাহী জাহাজ পরিষেবা বহাল রাখতে কলকাতা ডক সিস্টেম ও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ টি কোস্ট গার্ড জাহাজ ও জাহাজ নিয়ন্ত্রণের সমস্ত ব্যবস্থাকে নিরাপদ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া হলদিয়া, বজবজ ও সাগরের জেটি পরিষেবা আপাতত ডকগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেটি পরিষেবায় সতর্কতা রাখতে কলকাতা ও হলদিয়ায় বিশেষ ২৪ ঘন্টা দুটি কন্ট্রোল স্টেশনের খোলা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, তৎপরতার সঙ্গে নজর রাখবে জেটি এবং পণ্যবাহী জাহাজ পরিষেবায়। এডাব্লুএআই এই মুহুর্তে বাংলাদেশী জাহাজগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কলকাতা, হলদিয়া সহ বেশ কিছু বন্দরে ঝড় আছড়ে পড়লে বন্ধ রাখা হবে পণ্যবাহী জাহাজ পরিষেবা।